অবশেষে দলবদলটা হয়েই গেল। বেশ অনেকটা দিন ধরেই আলোচনার টেবিলে ছিল হামজা চৌধুরীর দলবদলের ইস্যু। শেষ পর্যন্ত লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। প্রিমিয়ার লিগের বদলে তাকে এখন দেখা যাবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে। যেখানে তার মূল লড়াই হবে নতুন দলকে ফের ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসা।
হামজা চৌধুরীকে স্বাগত জানাতে শেফিল্ড ইউনাইটেড বেছে নিয়েছে তার বাংলাদেশি পরিচয়টাকেই। ৩ সেকেন্ডে প্রথম ভিডিওটি আপ্লোড করা হয় লাল-সবুজের পতাকাকে ক্যাপশনে রেখে। এরপরেই তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশি ব্লেড নামে। মূলত শেফিল্ড ইউনাইটেডের ডাকনামের সঙ্গে মিল রেখেই উল্লেখ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশি ব্লেড’।
নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটিতে কোচ র্যু ড ভ্যান নিস্টেলরয়ের পরিকল্পনায় খুব একটা ছিলেন না এই বাংলাদেশি তারকা। বিপরীতে শেফিল্ড ইউনাইটেড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার বেশ আগে থেকেই হামজার খেলার ভক্ত। ২০২৩ সালে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলার সময়ে হামজাকে মনে ধরেছিল তার। সেই সুবাদে আবার এই বাংলাদেশিকে নিজের দলে টেনে নিলেন ক্রিস ওয়াইল্ডার।
দলে যোগ দেয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে হামজা বলেন, ‘আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। বেশ কয়েকসপ্তাহ ধরেই আলোচনা চলছিল। আমি এই দলে যুক্ত হতে পেরে বেশ খুশি। মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি।’ দলে যোগ দিয়েই হামজা জানালেন, শেফিল্ডকে প্রিমিয়ার লিগে ফেরানোর পথে সাহায্য তিনি করতে চান।
অবশ্য, শেফিল্ড নিজেদের প্রথম বিভাগে ফেরানোর পথে বেশ অনেকটা এগিয়েই আছে। ইংলিশ ফুটবলের কাঠামো অনুযায়ী, প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়নশিপের ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা চারদল অংশ নেয় প্রিমিয়ার লিগ কোয়ালিফিকেশনে। আর শীর্ষ দুই দল সরাসরি চলে যাবে প্রিমিয়ার লিগে। শেফিল্ড আপাতত আছে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। আর এই লিগে শীর্ষে আছে লিডস ইউনাইটেড।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই স্পোর্টস জানিয়েছে, মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে পাড়ি জমাচ্ছেন হামজা চৌধুরী। ফুটবল দুনিয়ার আরেক বিখ্যাত সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছিলেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এই সময়ে হামজার পুরো বেতন পরিশোধ করবে শেফিল্ড ইউনাইটেডই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।