ম্যাচ শেষে ভুটান কোচ আৎসুশি নাকামুরার সংবাদ সম্মেলন পুরোটা ছিল হামজা চৌধুরী কেন্দ্রিক। ঘরের মাঠে শুরুতে গোল করে বাংলাদেশকে যেমন উজ্জীবিত করেছেন। তেমনি ভুটানকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই মিডফিল্ডার। অন দ্য বল কিংবা অফ দ্য বল, দুই ক্ষেত্রেই হামজা ছিলেন অনবদ্য। (হামজার বন্দনা – ভুটানের কোচ)
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথার শুরুতেই হামজাকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানালেন আৎসুশি। পরের প্রশ্নে অকপটে স্বীকার করলেন, হামজাই দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন, ‘কেবল গোলের মাধ্যমে না। মাঠে তার উপস্থিতি বাংলাদেশ দলের জন্য খুবই ইতিবাচক।’
হামজাকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘যখন তার পায়ে বল ছিল, আমরা সেটা তার কাছ থেকে নিতে পারিনি৷ তার কারণে আমরা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারিনি।’
গেল বছর সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল এই ভুটান দল। তবে এবারে বাংলাদেশের মাঠে খেলা কঠিন ছিল, সেটা স্বীকার করেই নিলেন ভুটানের জাপানি কোচ, ‘খুবই কঠিন ম্যাচ। বিল্ডআপ দারুণ ছিল। আগের ম্যাচগুলোতে পাসিং এবং বিল্ডআপে আমরা এমন দেখিনি। কেবল হামজাই না, পুরো বাংলাদেশের খেলাতেই পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশ অনেকটাই পরিবর্তন হচ্ছে।’
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের মাঝমাঠে যুক্ত হয়েছেন হামজা, ফাহামিদুলরা। আজ ডাবল পিভট রোলের সঙ্গে জামাল ভূইয়া ছিলেন আক্রমণে। তার খেলাও ছিল চোখে পড়ার মতোই। ভুটানের কোচ আৎসুশি নাকামুরাও স্বীকার করে নিলেন মাঝমাঠে বাংলাদেশের উন্নতির কথা।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটা ম্যাচ ছিল সবদিক বিবেচনায়। একবছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাঝমাঠ এবং পাসিংয়ের উন্নতির কথা বলতে হবে আমাকে। হামজার অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ ফুটবলে অনেকটাই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।’
সবশেষে বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়েও প্রশংসা করতে বাধ্য হলেন সফরকারী দলের কোচ। অনেকগুলো দিন পর বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেরা। সেই ম্যাচে দর্শকদের কথা বলতে ভুললেন না আৎসুশি, ‘আমি বেশ জোরালো কণ্ঠে কথা বলি। কিন্তু এই পরিবেশে আমাকে কথা বলতে কষ্ট হয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় প্রতিপক্ষের মাঠে। তবে দর্শক আজকে দারুণ ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।