জুমবাংলা ডেস্ক: ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে হামলার শিকার হন বাবা ওমর আলীও। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও শঙ্কামুক্ত নন এই মুক্তিযোদ্ধা।
ডাক্তারের অনুমতি নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী সাথে কথা হয় গণমাধ্যমের সাথে। জানান, ঘটনার দিন রাতে মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে যান রুমে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মেয়ে ওয়াহিদাকে।
ওমর আলী বলেন, হামলাকারী ছিল একজনই। তাকে বাধা দিতে গেলে আমাদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে বদমায়েশটা আমাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি আলমারির কাছে পড়ে যাই। তবে অজ্ঞান হইনি। এক পর্যায়ে সে আমাকে বলে, উঠে আয়। তখন আমি বলেছি, আমি ওঠার মতো অবস্থায় নেই বাবা।
ওমর আলী বলেন, হামলাকারী আমাকে আঘাত করে আলমারির চাবি চায়। আমি বলেছি, চাবি কই আমি জানি না। তখন আমার নাতিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার চার বছরের নাতিটা তখন বাসায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ঘটনায় দায়ের মামলার বাদী ইউএনও ওয়াহিদার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শেখ ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানালেন, পরিবারের সব ভাবনা দু’জনের সুস্থতা ঘিরে। চান, সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে আসুক প্রকৃত ঘটনা।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মা রোমেছা বেগম বলেন, আমরা এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে কল্পনাও করিনি। আমরা বিচার চাই।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. রুস্তম আলী বলেন, আহত ওমর আলী এখনও শঙ্কামুক্ত নন। অবশ হয়ে আছে শরীরের নিম্নাংশ। আমাদের নিউরোসার্জনরা আপ্রাণ চেষ্টা করছে তাকে সুস্থ করে তোলার।
প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওমর আলীকে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।