আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার এক দিনের মাথায় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ (২৪ মার্চ) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব তথ্য জানিয়েছে লোকসভা সচিবালয়।
রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাদ আসনের লোকসভার সদস্য। তাকে চুপ করাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাহুলের আসন শূন্য ঘোষণার ফলে এখন যে কোনো সময় ওই আসনে বিশেষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তবে রাহুল আর সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়ার পর আজ শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হলো, রাহুল গান্ধী আর সংসদ নন।
আইনানুযায়ী, কোনো আদালত দুই বছর বা তার বেশিদিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলে সাংসদ-বিধায়কের পদ খরিজ হয়ে যায়। সেই জনপ্রতিনিধি আইন অনুসারেই রাহুল তার সাংসদ পদ হারালেন।
আইনজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালত যদি সুরাত আদালতের এই নির্দেশ খারিজ করে দেয়, তাহলে একমাত্র রাহুল গান্ধী আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল আদৌ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন থেকে গেল।
রাহুল ভোটের আগে জনসভায় বলেছিলেন, শুধু মোদীদের বিরুদ্ধেই কেন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তারপর গুজরাটের বিজেপি নেতা রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুরাতের আদালত।
লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি সরকারের প্রতিহিংসামূলক কাজ। রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রায় অসাধারণ সাড়া পেয়েছিলেন দেখে ভয় পেয়ে সরকার এই কাজ করলো।’
প্রবীণ সংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধীকে সংসদে আদানি নিয়ে বলতেই দিল না বিজেপি। এবার তো সাংসদপদ নিয়ে নিলো। কিন্তু জনতার কাছে যাওয়া তো রুখতে পারবেন না মোদী-শাহ। কংগ্রেসের সব নেতা-কর্মী জনতার দরবারে যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।