জুমবাংলা ডেস্ক : একসময়ের অবাদ সম্ভাবনাময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী বাঁশ-বেত শিল্প এখন কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে । প্লাস্টিক পণ্যের অবাধ ব্যবহার ও ক রো না র প্রভাব এ শিল্পের বিলুপ্তিকে ত্বরান্বিত করছে।
একসময় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পুরনো বন্দর এলাকায় বাঁশ দিয়ে তৈরি হতো শিকা, ফুলদা, বাস্কেট, কলমদাসহ চোখধাঁধানো নানা ডিজাইনের আসবাবপত্র। এসব পণ্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা হতো।
সেই সাথে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হতো। ফলে দেশী-বিদেশী ক্রেতা, রফতানিকারক ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত থাকত এ এলাকা। বর্তমানে সেই বাজার হারিয়ে শুধু বৈশাখী মেলাকেন্দ্রিক হয়ে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে চলেছে এ শিল্প। কেউ কেউ বাপ-দাদার অতীত ধরে রাখার চেষ্টা করলেও তাদের অবস্থা একেবারেই করুণ।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী সনদ অর্জনকারী ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের ধীরেন সামন্ত বলেন, গ্রামের কয়েকজন মিলে ঢাকার বৈশাখী মেলার জন্য সারা বছর ধরে পণ্য তৈরি করতাম। করোনার প্রভাবে তেমন মেলা না হওয়ায় লোকসানে পড়তে হয়েছে। এ ছাড়াও ১৯৯০ সালের পর সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এই শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
কুটিরশিল্প ছেড়ে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি হওয়া সারওয়ার হোসেন সবুজ জানান, একসময় বিসিকের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাফট করপোরেশন বিভাগীয় শহরে এসব পণ্যের বিক্রয় শোরুম করেছিল, যা এখন নেই। পণ্যের বিক্রয় মূল্য তেমন না বাড়লেও উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে তিন-চার গুণ।
নাম প্রকাশ করার শর্তে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ১৯৮০-এর দশকে হস্তশিল্পের ব্যাপক চাহিদা ছিল। এখন বিদেশে বিপণন নেই, দেশেও বিপণন নীতি উন্নত না হওয়ায় এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। সরকার প্রণোদনার আকারে স্বল্প সুদে ঋণ দিলেও বিভিন্ন শর্ত থাকায় এ শিল্পের শিল্পীরা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি।
এ শিল্পের হারানো গৌরব ফিয়ে আনতে পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা, প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার কমানো, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।