পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই যেন হারের প্রতিযোগিতায় নেমেছিল একের পর এক ভুল, ধস ও নাটকীয়তা-সব মিলে ম্যাচটি যেন রূপ নেয় এক উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলারে।পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্য শেষ বলে ২ উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরে আসে সমতা।
শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। সেখানে জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচের রাশ টেনে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফ্রিদির করা ১৮তম ওভারে আসে ১২ রান। এরপর হাসান আলীর ওভারে তুলে নেয় ১৬ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে মাত্র ৮ রানের।
শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনা। প্রথম পাঁচ বলে মাত্র ৪ রান দেন আফ্রিদি, সঙ্গে উইকেট তুলে নেন শেফার্ডের। শেষ বলে ৩ রান দরকার, তখনই হোল্ডার ব্যাট চালান মিডল স্টাম্প লক্ষ্য করে করা বলটিতে-যা বাউন্ডারি হয়ে গড়ায় ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে! জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৬.২ ওভার থেকে ১৪.৫ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের স্পিন ত্রয়ী-মোহাম্মদ নওয়াজ, সুফিয়ান মুকিম ও সাইম আইয়ুব ১২ ওভারে মাত্র ৫৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৬টি উইকেট। নওয়াজ একাই শিকার করেন ৩ উইকেট, খরচ মাত্র ১৪ রান।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা ভালো করলেও ধসে পড়ে শেষ দিকে। শেষ ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি না পাওয়া দলটি তুলতে পারে মাত্র ২৩ রান। ৮ ব্যাটসম্যানের রানই ছিল এক অঙ্কে। ব্যতিক্রম ছিলেন হাসান নওয়াজ (২৩ বলে ৪০) ও সালমান আগা (৩৮)।
বোলিংয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দেন হোল্ডার। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট, যা তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কারও এনে দেয়। এদিন টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৮১ উইকেট) হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।