লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার মজা যেমন আছে তেমনই কিছু পীড়াদায়ক ব্যাপারও ঘটে থাকে। যেমন ত্বকের সমস্যা, জ্বর, সর্দি, কাশি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা ইত্যাদি। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও বেড়ে যাচ্ছে এই শীতে।
সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হলো শীতে হৃদরোগের আশঙ্কা আচমকা বেড়ে যায়। সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, তাপমাত্রা যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে তখন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার যে ঝুঁকি, তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেলে সেই ঝুঁকি চার গুণ বেড়ে যায়। আমাদের দেশে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আজকাল হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়েছে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে
কিন্তু গ্রীষ্ম প্রধান দেশে হওয়াতে তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামলেই হাসপাতালগুলোতে শীতের অসুস্থতাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতি বছর শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়। শীতের প্রভাবে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে যা গবেষণায় প্রমাণিত। শীতের প্রভাবে রক্তনালী সংকোচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে।
শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়
স্নায়ুব্যবস্থার ‘সিমপ্যাথেটিক অ্যাক্টিভেশন’ বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন। এর ফলে রক্তচাপও বাড়ে। তাই শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে হৃদযন্ত্রের উপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। শীতকালে এমনিতেও অক্সিজেনের প্রয়োজন তুলনামূলক বেশি লাগে শরীরে। এই পরিস্থিতিতে রক্তনালী সঙ্কুচিত হওয়ার কারণে হৃদযন্ত্রে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। আজকাল হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়েছে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে। তাই শীতকালে এই আশঙ্কা কমাতে বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর ঊপায় – কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে বা রক্তচাপ বেড়ে যাবে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন। কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে বা রক্তচাপ বেড়ে যাবে এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।
ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সামান্য এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করুন। শরীরের মুভমেন্ট ভীষণ জরুরি এই মৌসুমে।
বাইরের তাপমাত্রা বুঝে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করুন। ফ্যাশনের কারণে শীতবস্ত্র ছাড়া মোটেই থাকবেন না।
ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সামান্য এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করুন
বয়স্ক হৃদরোগীরা প্রতিদিন গোসল না করে একদিন পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। খুব বেশি গরম পানি দিয়ে গোসলে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।