অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী: সম্প্রতি এর শিকার হলো পরিচিত এক ছেলে। বয়স ৪০ বছরও হয়নি। ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস ও মানসিক চাপই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের ডাক্তারি শব্দ ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’।
রক্তনালির ভেতরে প্রবাহ রোধ, ক্লট জমে জমে হার্টে রক্ত সরবরাহ কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। হার্টকে রক্তের জোগান দেয় করোনারি ধমনি। এর ভেতর কোলেস্টেরল আর চর্বি জমে জমে পলির মতো স্তর পড়ে। একে বলে প্লাক। পরিণতিতে করোনারি ধমনির ভেতরটা সরু হয়ে রক্তের প্রবাহ হয় ক্ষীণ। এতে হার্টে কম রক্ত পৌঁছায়, হঠাৎ অকেজো হয় হার্ট। এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব মেডিক্যালে নিতে হবে।
তরুণরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে?
হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস তো নতুন নয়। তবে আগে ধরা পড়ে কম। আগে বয়স্করাই আক্রান্ত হতো। এখন তরুণরা এর শিকার হচ্ছে জীবনযাপন রীতি, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার ধরন ও মানসিক চাপ সামলাতে না পারার কারণে।
হার্ট অ্যাটাক থেকে দূরে থাকতে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমবে।
ঝুঁকি এড়াতে
♦ অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল পরিহার
♦ স্থূলতা কমাতে হবে
♦ পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
♦ ধূমপান ত্যাগ
♦ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
♦ হাই কোলেস্টেরল কমাতে হবে
♦ হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
তবে এসব ঝুঁকির বাইরে বংশগতিও একটি বড় কারণ। জেনেটিক প্রবণতা থাকায় অনেকে হালকা-পাতলা শরীরের অধিকারী হয়েও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়।
চিকিৎসা
আমাদের ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল শরীরে ত্রাতার কাজ করে। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বেশি হওয়ার অর্থ আপনি ঝুঁকিতে আছেন। যাঁদের এসব ঝুঁকি আছে তাঁদের দরকার প্রিভেনশন চেকআপ। কোলেস্টেরল বেশি হলে কার্ডিওলজিস্টের কাছে যেতে হবে। কোলেস্টেরলের ধরন নির্ধারিত হয় জিন দ্বারা। সাধারণভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বেশি তত বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।