জুমবাংলা ডেস্ক : মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর সরকারি ৩১ শয্যা হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাহিদুল ইসলাম সুমনকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে সুমনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার হাসপাতালে বসেই মেডিকেল অফিসারের ইয়াবা কারবার শিরোনামে সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই টনক নড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
কামরাঙ্গীরচর সরকারি ৩১ শয্যা হাসপাতালে বসেই দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কেনাবেচার বড় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন সুমন। সমকালের অনুসন্ধানে সুমন ও তার চক্রের ইয়াবা বেচাকেনার চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
০১৯১০-৪২০৮০৮ এই নম্বর থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায় কথোপকথন চলে সুমনের। এই নম্বরটি তার প্রকৃত নাম-পরিচয়, ঠিকানা দিয়েই নিবন্ধন করা। কামরাঙ্গীরচর এলাকায় দুটি ফার্মেসিতে চিকিৎসক হিসেবে রোগীও দেখেন তিনি। তাই এলাকাবাসীর কাছে সুমন ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। মাদক কারবারিরাও ফোনে ‘ডাক্তার ভাই’ বলে সম্বোধন করেন।
সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ইয়াবার জগতে তার রমরমা ব্যবসা। ইয়াবার চালান আনতে প্রায়ই সুমন ছুটে যান কক্সবাজারে। একাধিক মোবাইল নম্বর, হোয়াটস অ্যাপস ও মেসেঞ্জারে বিভিন্ন পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
রপর নিজের হাসপাতালের ভেতরে ডেকে নিয়ে ইয়াবা বড়ির বড় বড় চালান পার্টিকে বুঝিয়ে দেন। কখনও আবার নিজের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সুমন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা হিসেবে ইয়াবা ক্রেতার কাছে পৌঁছেও দেন। অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে ইয়াবার পুরো কারবার সামলাচ্ছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।