জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে দিয়ে নবজাতককে (ছেলেসন্তান) ফেলে পালিয়ে যায় প্রকৃত বাবা-মা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় ওই হতভাগ্য মৃত নবজাতকটির লাশের ঠাঁই মিলেছে ওই হাসপাতালের মর্গে। তার পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নবজাতকটির লাশ সেখানেই থাকবে।
তারপরও শেষপর্যন্ত না পাওয়া গেলে তখন নেয়া হবে তার দাফনের ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, আধুনিক জেলা হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ও ভর্তির সময় জরুরি বিভাগে দেয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্ত করে নবজাতকের নিষ্ঠুর বাবা-মাকে খুঁজে বের করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু ইতোমধ্যে ভর্তির সময় দেয়া তার কথিত বাবা-মার পরিচয় মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও নানাভাবে নবজাতকের পরিচয় বের করার সব ধরনের চেষ্টা ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, রোববার রাত ৭টা ৫০ মিনিটের সময় এক নারী দুইজন পুরুষসহ চার দিন বয়সী অসুস্থ এক নবজাতককে হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে দেন। আনুমানিক রাত ৯টার দিকে নবজাত শিশুটির চিকিৎসা চলার এক ফাঁকে তারা শিশুটিকে ফেলে হাসপাতাল থেকে চুপিসারে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই সময় শিশুটির বাব-মা কিংবা তাদের সঙ্গে করে আনা জনৈক সাগর নামের ব্যক্তিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের হাসপাতালের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরে বিষয়টি জয়পুরহাট থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে ছুটে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজখবর ও তদন্ত শুরু করে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, অসুস্থ নবজাতকের সঙ্গে হাসপাতালে আসা ব্যক্তিরা জরুরি বিভাগে তাদের যে নাম-ঠিকানা দিয়েছিল তা যাচাই করে দেখা হয়েছে। ঠিকানাগুলো ভুল। তারা মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নবজাতকের বাবা-মাকে শনাক্ত করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের সন্ধান না পেলে নবজাতকের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।