অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন থেকে বাড়ি থেকেই এই অভিনেতার চিকিৎসা চলবে।

ধর্মেন্দ্রর টিমের পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার শারীরিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকের কড়া পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত নিজ বাসভবনেই থাকবেন তিনি। সেখানেই চলবে তার প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা।
একইসঙ্গে অভিনেতার টিম সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো রকম গুজব বা ভুয়ো খবর না ছড়াতে। ধর্মেন্দ্র ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ১০ নভেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তার অসুস্থতার খবরটি দ্রুত বলিউড পাড়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। এর মধ্যেই তার মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বেশি বিচলিত করে তোলে ভক্তদের।
পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রর পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করা হয়। কিংবদন্তি এই তারকার দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে এবং তাকে একনজর দেখতে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান বলিউডের অনেক সতীর্থ ও ভক্ত।
উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে জন্ম ধর্মেন্দ্রর। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল তার। পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে তরুণ বয়সেই ভারতীয় রেলে কেরানির পদে চাকরি নেন। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। তারপর প্রথম বিয়ে হয় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে।
এ সময় ধর্মেন্দ্র বুঝতে পারেন, রেলের চাকরিতে তার মন টিকছে না। জায়গা করে নেন ক্যামেরার সামনে। তারপর স্বপ্ন পূরণের আশায় পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে। সেখানেও ভাগ্যকে সহজে লক্ষ্যে নিতে পারছিলেন না। ধারাবাহিকভাবে অডিশন দিতে থাকেন। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরা’ সিনেমায় সুযোগ পান।
এ অভিনেতা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘শোলে’, ‘ছুপকে ছুপকে’, ‘ধরমবীর’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘সত্যকাম’, ‘রাজা জানি’, ‘রাখওয়ালা’র মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



