জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার হয়েছে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গলবার অপারেশন থিয়েটারে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা হয়েছেন এক প্রসূতি।
১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর ওই হাসপাতালে কোনো অপারেশন হয়নি। সরকারি ওই হাসপাতালে একটি অপারেশন থিয়েটারের অভাবে হোমনা উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন এতদিন। তবে জোবেদা আক্তার নামের ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মধ্য দিয়ে ৪০ বছরের সেই ভোগান্তির অবসান হলো।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার আলিপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী জোবেদা আক্তার। তিনি এই প্রথম মা হলেন। স্বভাবতই ভয় এবং উৎকণ্ঠা কাজ করছিল প্রসূতি এবং স্বজনদের মধ্যে। তবে তিন ঘণ্টা পর তিনজন ডাক্তার, তিনজন সিনিয়র নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সিজারিয়ান অপারেশনে তিনি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ফ্লুইডের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছিল। নবজাতকের মুভমেন্ট এবং অবস্থা স্বাভাবিক প্রসবের পর্যায় থেকে কিছুটা জটিল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরা বাইরের ক্লিনিকে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা ভাবেন। কিন্তু রোগীর আর্থিক স্বচ্ছলতাও তেমন ভালো ছিল না।
গত ১০-১৫ দিন আগেই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান (এনেস্থেসিয়ালজিস্ট), ডাক্তার আখতার আলম (সার্জন), ডা. সুব্রত, সিনিয়ার স্টাফ নার্স জাহানারা, জেসমিন, রুমি আক্তার, ওটি বয় মনির হোসেন ও রুহুল আমিনের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার দুপুর একটায় সফলভাবে ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। আর এর মাধ্যমেই অপারেশন থিয়েটারটি চালু হয়। এতে উপজেলাবাসীর দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন খান জানান, সরকারি হাসপাতালটিতে বিনা খরচে আমরা প্রশিক্ষিত ডাক্তার ও নার্সদের নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর পর অত্যন্ত সফলভাবে ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করেছি। তবে বাইরে থেকে তাদের ১২শ টাকার ওষুধ কিনতে হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।