জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী দিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাঠাতে সরকার প্রস্তুত—এমন পত্র আগামী দু–এক দিনের মধ্যেই ভারতের হাতে পৌঁছাতে পারে বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারত সরকারের কাছে ‘কূটনৈতিক পত্র’ পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, যা খুব শিগগিরই পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, দুই দেশের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হবে। তাঁর ভাষায়, “আজ বা আগামীকালই পত্র পাঠানোর কথা।”
সরকারের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পাঠানোর পাশাপাশি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমেও কূটনৈতিক বার্তাটি পৌঁছানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের সময় পদত্যাগ করে ভারত আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
এর আগে গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
সরকারি কূটনৈতিক পদক্ষেপের এই নবতর উদ্যোগের পর দুই দেশের সম্পর্ক এবং প্রত্যর্পণ চুক্তির বাস্তব প্রয়োগ এখন নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রায়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অন্য কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিপন্থি এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অসম্মান। ভারতকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুজনকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি, স্থিতিশীলতাসহ বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সময় সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



