স্পোর্টস ডেস্ক : নানান সমীকরণে জমে উঠেছে আইপিএল। গ্রুপ পর্বের খেলা প্রায় শেষের দিকে। প্লে অফের টিকিট ইতোমধ্যেই জোগাড় করে ফেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের। ইতোমধ্যেই প্লেঅফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বাকি পাঁচটি দল দুটো জায়গার জন্য লড়ছে। দেখে নেওয়া যাক এই মুহূর্তে কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর- মঙ্গলবার আরসিবি ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়ায় বিরাট কোহালির দলের প্লে অফে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের আর একটিই ম্যাচ বাকি রয়েছে। চলতি মাসের ৪ তারিখ আরসিবির সামনে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।
রাজস্থান রয়্যালস- রাজস্থান রয়্যালসের প্লে অফে যাওয়ার আশা বেঁচে রয়েছে। রাজস্থান এখন পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে। তাদের ঠিক উপরেই রয়েছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। রাজস্থানের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই ম্যাচটা জিততেই হবে রাজস্থানকে। তবে শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেট বাড়িয়ে রাখতে হবে। তার পরেও নির্ভর করে থাকতে হবে অন্য দলের উপরে। দিল্লিকে হারালে রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্ট হবে ১৩। সে ক্ষেত্রে সানরাইজার্সকে হারতে হবে বাকি দুটো ম্যাচেই।
সানরাইজার্স যদি একটি ম্যাচে জেতে, সে ক্ষেত্রেও নেট রান রেটের মাধ্যমে প্লে অফে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকবে। যদি দুটো ম্যাচই হারে সানরাইজার্স, তখনও প্লে অফে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকবে হায়দারাবাদের। সানরাইজার্সের পয়েন্ট ১২। নেট রান রেট ভাল থাকলে তারা যেতেই পারে প্লে অফে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স-১২ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট কেকেআরের। বাকি দুটো ম্যাচ জিততেই হবে নাইটদের। এই মুহূর্তে কেকেআরের নেট রান রেট ০.১। দুটো ম্যাচ জিতলে নাইটদের রান রেট আরও বাড়বে। পয়েন্ট সমান সমান হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটের সুবিধা নিতে পারে নাইটরা।
যদি কেকেআর পরবর্তী দুটো ম্যাচই জেতে এবং সানরাইজার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও আরসিবির কাছে দুটো ম্যাচেই হারে, তা হলে নাইটরা ১৪ পয়েন্ট পেয়ে পৌঁছে যাবে প্লে অফে। তখন আর নেট রান রেটের প্রয়োজন পড়বে না।
কেকেআর যদি দুটো ম্যাচের মধ্যে একটিতে জেতে, তা হলেও প্লে অফে পৌঁছতে পারে। সে ক্ষেত্রে সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে বাকি দুটো ম্যাচেই হারতে হবে এবং রাজস্থান রয়্যালসকে শেষ ম্যাচে দিল্লির কাছে হারতে হবে। আরসিবি-রাজস্থান ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় রাজস্থান ১ পয়েন্ট পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য লাভ হয়েছে নাইটদের। এর পরেও সিএসকে-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের উপরে অপেক্ষা করে থাকতে হবে নাইটদের। চেন্নাই সুপার কিংস যদি কিংস ইলেভেনকে হারায়, তা হলে প্লে অফে কেকেআর।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব- ১২টি ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবেরও। সানরাইজার্স যদি দুটো ম্যাচ জেতে এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হারিয়ে দেয় কেকেআরকে, তা হলে বাকি দুটো ম্যাচ জিতলেও লাভের লাভ হবে না কিংস ইলেভেনের। নেট রান রেটের দিক থেকে কিংস ইলেভেন অনকেটাই পিছিয়ে।
চারটি দলের পয়েন্ট যদি ১৪ হয়, সে ক্ষেত্রে কিংস ইলেভেন ছিটকে যাবে। এটা তখনই সম্ভব যদি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের শেষ দু’টি ম্যাচে হারে এবং সানরাইজার্স দুটোর মধ্যে একটি ম্যাচে হার মানে।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স- কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে শেষ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হার মানলেও প্লে অফে পৌঁছনোর দৌড়ে ভালই এগিয়ে রোহিত শর্মার দল। ১২ ম্যাচ থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। দুটোর মধ্যে যে কোনও একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবে মুম্বাই। শেষ দুটো ম্যাচ জিতলে ‘টপ টু’য়ে শেষ করতে পারে তারা। যদি শেষ দুটো ম্যাচেও হার মানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, তবুও প্লে অফে যেতে পারে মুম্বাই। সেক্ষেত্রে বাকি ম্যাচগুলোর ফল তাদের পক্ষে যেতে হবে। নেট রান রেটের দিক থেকে মুম্বাই ভাল জায়গাতেই রয়েছে। সানরাইজার্স এক নম্বরে রয়েছে নেট রান রেটের দিক থেকে। তার পরেই মুম্বাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।