জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি ছিল। তবে শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় রবিবার থেকে খুলবে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়েছেন তারা।
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণ গতকাল শুক্রবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়, জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
তীব্র দাবদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
তীব্র গরমে শিশুদের নিরাপদ রাখতে এই সময় স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ছিদ্দিকুর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের স্বার্থেই শিক্ষা প্রশাসনকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এছাড়া স্কুল বন্ধ হোক বা না হোক, তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে অভিভাবকরা তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন না।
তীব্র গরমের কারণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ জুন এই চার দিন স্কুল ছুটি ঘোষণা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গত বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। কিন্তু সেই ছুটি বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ছুটি রয়েছে। আগামী ১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ২ জুলাই মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪ দিন নির্ধারিত ছুটি রয়েছে। অভিভাবকরা প্রয়োজনে এই গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আগামী রবিবার থেকে দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই গরমে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। ১৮ এপ্রিল রাজ্যের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা ছাড়া বাকি সব জেলার স্কুল ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে স্কুলের নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিপাইনও। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত ক্লাস চলবে অনলাইনে।
তবে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা প্রশাসন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সবাইকে জানানো হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। স্কুল বন্ধ রাখা হোক বা না হোক, বিষয়টি শনিবারের মধ্যেই সবাইকে অবহিত করা হবে।’
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel