১৯৪২ সালে বিশ্বযুদ্ধের সময় এক ভারতীয় সেনা হিমালয়ের দিকে টহল দিয়েছিলেন। পথ হারিয়ে তিনি এক লুকানো উপত্যকার হ্রদে গিয়ে পৌঁছান। ওই লেকের নাম হচ্ছে রূপকুন্ড। তিনি সেখানে মানুষের খুলি দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে ভয় পেয়ে হ্রদের অপর প্রান্তে চলে যান।
সবথেকে ভয়ংকর ব্যাপার হলো তিনি হ্রদের মধ্যে অসংখ্য মানব কঙ্কাল দেখতে পেয়েছিলেন। এমনকি ওই লেকের তীরেও মানব কঙ্কাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এর রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে ধারণা করা হয় যে, এখানে যেসব মানব কঙ্কাল পাওয়া যায় তা জাপানি সৈন্যদের।
পরবর্তী সময়ে গবেষণায় বেরিয়ে আসে যে, ওইসব মানব কঙ্কাল আরো বেশ পুরনো। ১৮৪১ সালে ডোকলাম তিব্বত যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনারা পরাজিত হয়ে লেকের তীর দিয়ে ফিরে যাচ্ছিল। আসলে তারা পথ হারিয়ে ফেলেছিল। তখন তুষার ঝড়ে তাদের সবার মৃত্যু ঘটে।
অস্ত্রের মধ্যে সেখানে বর্ষার ফলা ব্যতীত কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এখানে নারীর কঙ্কালও ছিল। কিন্তু ওই সময় কোন নারী যুদ্ধে যেত না। তবে রূপকুণ্ড অ্যাসিড লেক কিনা এটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটি এসিডিক লেক হলে মানব কঙ্কাল এবং হাড় অনেক আগেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
এ লেকের রহস্য নিয়ে বিভিন্ন কথা প্রচলিত রয়েছে। যেমন ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী এখানে মানুষকে উৎসর্গ করা হতো। অনেকে বিশেষ মাশরুম সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। তবে সবথেকে শক্তিশালী মতামত হলো মহামারির সময় মানুষের লাশ এখানে ফেলে রাখা হয়েছিল।
আরো একটি অবাক করে দেয়ার মত বিষয় হলো যে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের কঙ্কাল যেমন এখানে রয়েছে তেমনি ১৮০০ সালের কঙ্কালও এখানে পাওয়া গিয়েছে। তবে বিভিন্ন কঙ্কালে ধর্মীয় চিহ্ন এবং প্রতীক পাওয়া গেছে বিধায় মনে করা হয় যে তীর্থযাত্রায় আসার সময় অনেকের প্রাণহানি হয়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।