আবারো বিপদে হিরো আলম

হিরো আলম

বিনোদন ডেস্ক: নেটদুনিয়ায় আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। আলোচিত-সমালোচিত ওই অভিনেতা হিরো আলম নামে পরিচিতি পেলেও তার নাম আশরাফুল আলম সাঈদ।
রোববার রাতে হিরো আলমের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন। এর আগে, শনিবার রাতে তার বিরুদ্ধে জিডি করেন এমদাদুল হক নামের ওই সাংবাদিক।

অভিযোগকারী এমদাদুল হক নন্দীগ্রামের বিজরুল গ্রামের বাসিন্দা। হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, এমদাদুল হক দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক আলোর পথ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বার্তা সম্পাদক। গত ২৭ জুলাই দৈনিক আলোর পথ নিউজ পোর্টালে ‘হিরো আলমকে শেষ বার সতর্ক করলেন নুসরাত’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটির প্রতিবেদক এমদাদুল হক। ওই সংবাদ প্রকাশের পর একই দিন বিকেলে হিরো আলম সাংবাদিক এমদাদুল হককে মুঠোফোন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটি নিউজ পোর্টাল থেকে উঠিয়ে নিতে বলেন। এ সময় হিরো আলম সাংবাদিক এমদাদুলকে হুমকিও দেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ডিলিট না করলে এমদাদুলের সমস্যা সৃষ্টি করা হবে বলে তাকে হুমকি দেন হিরো আলম।
হিরো আলম
সাংবাদিক এমদাদুল হক বলেন, ‘হিরো আলমকে শেষ বার সতর্ক করলেন নুসরাত’ এই সংবাদ প্রকাশের পর তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন হিরো আলম। তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেওয়াসহ প্রতিবেদনটি ডিলিট করতে বলা হয়। একারণে থানায় জিডি করেছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, ‘হিরো আলমের সাবেক স্ত্রী নুসরাত জাহান সাথী অভিযোগ তুলেন যে, ডিভোর্স দেওয়ার পরও তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছেন হিরো আলম। এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পরই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন হিরো আলম।’

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হিরো আলমের বিরুদ্ধে করা জিডি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

আল্লুর অর্জুনকে অ্যাকশন-কাট বলেই পরিচালক নিলেন যত লাখ টাকা!