জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি অব্যাহত আছে। সরবরাহ বাড়ায় কাঁচামরিচ বর্তমানে পাইকারিতে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ১৮০ টাকায় কেনা মরিচ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কথা বলে জানা যায়, দুর্গাপূজার ছুটির ৬ দিন বন্ধের পর গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ দিনে ৫৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এসব কাঁচা মরিচ আমদানির মধ্য দিয়ে দাম কমেতে শুরু করেছে। পূজার ছুটির মধ্যে ৩০০ টাকা কেজি উঠে গিয়েছিল আমদানি করা মরিচের দাম। দেশি মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, গতপরশু বুধবার বন্দর দিয়ে আমদানি করা কাঁচামরিচের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দাম কমে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
তবে আজ শুক্রবার হিলির বাজারে খুচরায় বিক্রি মরিচের কেজি দর আরো কিছুটা কমবে বলে আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার হিলি বাজারে খুচরা কাঁচামরিচ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা দু’দিন আগে গত মঙ্গলবার ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘দেশী কাঁচামরিচের বাড়তি দামের কারণে সিরাজগঞ্জ থেকে এখানে আমদানি করা কাঁচা মরিচ কিনতে এসেছি। দুর্গাপূজার বন্ধের পর আমদানি শুরু হওয়ায় কাঁচামরিচের দাম কমেছে।
তিনি বলেন, গত পরশু বুধবার প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কিনেছিলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার আরেক দফায় কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। আজ শুক্রবার আরো কিছুটা দাম কমবে বলে তিনি আশা করছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানি-কারক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশের যেসব এলাকায় মরিচ উৎপাদন হতো। বিগত সময়ে সেখানে অতিরিক্ত গরমে মরিচের গাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও অতিবৃষ্টি ও বন্যায় মরিচের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে বাজারে ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বাড়তে শুরু করে। দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা ভারত থেকে আমদানি শুরু করি।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা ফয়েজ উদ্দিন বলেন, এতো দিন বাজারে সরবরাহ কম ছিল। আবার আমদানি করা মরিচ বাজারে কম থাকায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে দেশীয় কাঁচামরিচ বাজারে নেই।’
হিলি স্থলবন্দর পানামা পোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, দূর্গা পূজার কারণে টানা ৬ দিন আমদানি কার্যক্রম বন্ধের পর গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যন্ত ৩ দিনে ৫৩০ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আমদানি করা কাঁচা মরিচের ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পানামা পোর্টে প্রবেশ করেছে। আমদানি অব্যাহত আছে। যেহেতু এটি কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।