কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন ছিল গতকাল। তিনি একাধারে কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। সাহিত্যের পাশাপাশি টিভি ও চলচ্চিত্র অঙ্গনেও অমরত্বের ছাপ রেখে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার হাত ধরেই তারকা বনে গেছেন অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী।
যাদের মধ্যে ডা. এজাজুল ইসলাম অন্যতম। হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য নাটক-সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। জন্মদিনে হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিচারণা করছেন সবাই। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে কিংবদন্তি এই নির্মাতাকে স্মরণ করলেন তিনিও।
ডা. এজাজুল বলেন, হুমায়ূন আহমেদ আমার শিক্ষকের বন্ধু ছিলেন। তাই সব সময় ‘স্যার’ বলেই সম্বোধন করেছি তাকে। স্যারের পরিচালিত ‘সবুজ সাথী’ নাটকে প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলাম। নাটকে আমার চরিত্র ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মাঠকর্মী। চরিত্রটি ছোট ছিল। এরপর থেকেই স্যারের প্রায় সব নির্মাণেই থাকতাম আমি। স্যারের সঙ্গে আমার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’।
হুমায়ূন আহমেদ একজন লোভহীন মানুষ উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, স্যার ছিলেন একজন নির্লোভ মানুষ। যা করতে ইচ্ছে হতো সেটাই বিশাল আয়োজনে করতেন। মনের আনন্দ ও প্রশান্তির জন্য সবই করতেন তিনি। স্যারের নির্মিত ‘দুই দুয়ারী’ সিনেমা যদি টানা তিন মাস চলত তাহলে সেসময় ২০-৩০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে পারতেন তিনি। কিন্তু নির্লোভ বলেই সেই চিন্তা করেননি স্যার।
তিনি আরও বলেন, স্যারের শূন্যতা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে নাটক করতেন সেভাবে লেখা আর ডিরেকশন দেওয়া এখন আর এই পর্যায়ের কাছাকাছিও কেউ নেই। এমনকি ওই ধরনের নাটক কিংবা দর্শকও নেই।
প্রসঙ্গত, টিভি নাটক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রেও সমানতালে অভিনয় করছেন ডা. এজাজ। সর্বশেষ শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে। অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সুপরিচিত চিকিৎসকও তিনি। গরিবের ডাক্তার হিসেবেও বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। কারণ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।