আজকাল কম বয়সেই অনেকে হৃদরোগের ফাঁদে পড়ে বেজায় ভুগছেন। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে আপনাকে হার্টের সমস্যার ফাঁদ কাটিয়ে নিতে হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে অত্যন্ত উপকারী কয়েকটি খাবার। তাই ঝটপট এই নিবন্ধ থেকে এমনই কিছু হার্টের জন্য উপকারী খাবারের নাম জেনে নিন। তারপর এদেরকে পাতে করে দিন জায়গা।
আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল হৃৎপিণ্ড। এই অঙ্গটি সারা শরীরে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। আর সেই কারণে আমরা সুস্থ-সবল জীবনযাপন করি। তাই হেসেখেলে জীবন কাটাতে চাইলে হার্টের খেয়াল রাখতেই হবে। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার প্রথমে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। তার বদলে পাতে জায়গা করে দিন কয়েকটি উপকারী খাবারকে। ব্যস, তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
এবার ভাবছেন নিশ্চয়ই, ঠিক কোন কোন খাবারগুলিকে পাতে জায়গা করে দিলে হার্ট থাকবে সুস্থ-সবল? সেই উত্তর জানতে যত দ্রুত সম্ভব এই নিবন্ধটি পড়ুন। তারপর ডায়েটে যোগ করে দিন এসব খাবার। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা যদি আপনি আপনার বাগানে এই বাগটি দেখতে পান, তবে এটি তাড়াতাড়ি করুন
মাছের শরণাপন্ন হন
আমাদের পরিচিত সব মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের গুণে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে অ্যারিদমিয়া সহ একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও কমে। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই দিনে অন্তত ১ পিস মাছ খাওয়া শুরু করে দিন। আর পারলে সপ্তাহে অন্তত একদিন স্যালমন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন, টুনার মতো ফ্যাটি মাছ খান। ব্যস, তাতেই স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত বদলে যাবে।
টমেটোর বিকল্প নেই
হার্টের হাল ফেরানোর কাজে খুবই ভালো কাজ করে টমেটো। কারণ এই সবজিতে রয়েছে কিছু অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু গোটা শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেলস বের করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যার ফলে কমে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। আর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যাওয়ার সুবাদে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। তাই হার্টের হাল ফেরাতে চাইলে আজ থেকেই টমেটোর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
মহৌষধি আমন্ড
এই বিশেষ ধরনের বাদামে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। এমনকী এতে উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবারও রয়েছে। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু কোলেস্টেরলকে বশে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী এইসব উপাদানের গুণে দূরে থাকে হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী সমস্যা। তাই আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব আমন্ডের মতো একটি উপকারী বাদামকে ডায়েটে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
জুড়ি নেই ডার্ক চকোলেটের
আপনি কি চকোলেট খেতে খুবই ভালোবাসেন? এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হলে যে আপনার জন্য একটা সুখবর রয়েছে! কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খেলেই অনায়াসে হার্টের অসুখের মতো জটিল সমস্যাকে গুড বাই জানানো সম্ভব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হৃৎপিণ্ডকে একাধিক জটিল রোগ থেকে বাঁচায়। সুতরাং সুস্থ থাকতে আজ থেকেই চকোলেট খাওয়া শুরু করে দিন।
সবুজ শাকই সেরার সেরা
আমাদের অতি পরিচিত সব সবুজ শাকে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু হার্টকে সুরক্ষা দেয়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ডায়েটরি নাইট্রেট রক্তনালীকে বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। ফলে চট করে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার ভয় থাকে না। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত পাতে শাক রাখার পরামর্শ দেন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।