জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, মার্চ মাসের শুরু থেকেই মির্জা ফখরুল সহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্যের মাধ্যমে হেফাজতকে উস্কে দিচ্ছেন। নিজেদের সক্ষমতা নেই তারা এখন ধর্ম ব্যবসায়ী দলকে উসকে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হামলায় বিএনপি-জামায়াতকে দুষলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা না। এই গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিস্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। দেশে তো বিএনপির সাংগঠনিকভাবে এমন কোনো তৎপরতা নেই, যেটা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে। ওদের নিজেদের সক্ষমতা নেই, ওরা ধর্মব্যবসায়ী দল হেফাজত ও জামায়াতের ওপর ভর করেছে।
হানিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব যারা এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যাকলাপ করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এবার আশ্বস্ত করছি, এবার আমরা একটা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব।
২০২১ সালের মধ্যে সরকারের পতন হয়ে যাবে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য সম্পর্কে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা যে সরকারের পতন হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করছেন, কোন আশায়-কিসে উপর ভিত্তি করে? বিএনপি নিজেদের এমন কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা নেই, যার উপর ভিত্তি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে, তাহলে তারা ভাবছেন কেন সরকারের পতন হবে? নিজেদের সক্ষমতা নেই তারা এখন ধর্ম ব্যবসায়ী হেফাজত ও জামায়াতিদের মাথায় ভর করছে। তারা ভর করছে বলেই এ ধরনের কথা বলছে।’
মাহবুব উল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘সেদিন দেখলাম, বিএনপির এক নেত্রী বাসে আগুন দিয়ে সেই ভিডিও তার নেতাকে লন্ডনে পাঠাতে বলেছে। লন্ডন থেকে বসেই এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সারা বিশ্বসহ আমাদের কাছে অহংকার ও গৌরবের। এই সময়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে আলোচিত।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আপনারা দেখেছেন প্রতিটি দেশের সরকার প্রধান কি বার্তা দিয়েছে, কি প্রশংসা করেছে। এসব স্বাধীনতাবিরোধী পরাশক্তি ও তাদের প্রেতাত্মাদের পছন্দ হয়নি। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা সমাজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন।’
পরে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রতিনিধিদল নিয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আল-আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।