জুমবাংলা ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী মসজিদের মাইকে জানাজার পূর্বে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আল্লামা শফী হুজুর আমাদের মুরুব্বি। আমরা উনার জন্য দোয়া করছি। আর আপনারা জানেন, হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আল্লামা শফী হুজুরের মৃত্যুতে হেফাজতে ইসলামের আমির পদটি শূন্য হয়ে যায়। আমরা হুজুরের (আল্লামা শফী) জানাজা-দাফন শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের সম্মেলন ডাকবো। সম্মেলনে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে হেফাজতে ইসলামের আমির নির্বাচন করবো।
এসময় শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম (বড় মাদরাসা) মাদরাসার মহাপরিচালক আহমদ শফীর পদত্যাগ ও মৃত্যুর পর এর দায়িত্ব নিয়েছে শুরা কমিটি।
তিনি বলেন, আমি মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী। আল্লামা শফী হুজুর আমাদের মুরুব্বি ছিলেন। আমরা সকলে আল্লামা শফী হুজুরের জন্য দোয়া করবো। মাদরাসা নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে শুরা কমিটি মাদরাসার দায়িত্ব পালন করবে। আমি আল্লামা শফী হুজুরের জানাজা-দাফনের পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদরাসার পরিচালক নিয়োগ করবো। পরিচালক নিয়োগের পূর্বসময় পর্যন্ত শুরা কমিটি মাদরাসা পরিচালনা করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি দারুল উলুম হাটহাজারী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গঠন করা হয়। আহমদ শফী এর প্রতিষ্ঠাতা আমির মনোনীত হন। এরপর ২০১১ সালে তার নেতৃত্বেই ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে’ চট্টগ্রামে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। তখন ঢাকায় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বে ঢাকায় আন্দোলন হয়। ২০১২ সালে এই দুই নেতা মারা যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকার আলেমদের মধ্যে এক ধরনের নেতৃত্বহীনতা সৃষ্টি হয়।
নানা চরাই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে সংগঠনটি গুছিয়ে আনার পর শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আল্লামা আহমদ শফী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার বাদ জোহর হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।