জুমবাংলা ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৬ জন নেতাকর্মীর সম্পদের তথ্য চেয়ে ব্যাংকসহ সরকারের চারটি দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ অর্ধশত নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।
সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, এসব দপ্তর থেকে তথ্য এলেই শুরু হবে পরবর্তী কার্যক্রম। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও পটিয়া থানার ভূমি বিভাগের সহকারী কমিশনার এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ভূমি বিভাগের সহকারী কমিশনার ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারকে পাঠানো চিঠিতে হেফাজত নেতাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমির দাগ, খতিয়ানসহ নথি চাওয়া হয়েছে। আর বিএফআইইউ-এর প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে সবার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে।
হেফাজতের অভিযুক্ত ৫০ জনের নাম জানা গেছে। এর মধ্যে বিলুপ্ত ঐ কেন্দ্রীয় কমিটির অভিযুক্তরা হলেন—সহসভাপতি মাহফুজুল হক, অধ্যাপক ড. আহমেদ আবদুল কাদের, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, সহকারী মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী, হাসান জামিল, মুসা বিন ইসহাক, ফজলুল হক কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা আতাউল্লাহ আমিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, সামছুল ইসলাম জিলানী, সহ অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মাস্টার (হাটহাজারী), সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক শোয়াইব আহম্মেদ, সহপ্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাসেমী, ইনামুল হাসান ফারুকী, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী ও সদস্য মুফতি কেফায়েত উল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।