জুমবাংলা ডেস্ক : ঘটনা গত ২৮ মে বিকালের। রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বর থেকে শ্যামলীর উদ্দেশে রওনা হন কর্মজীবী ওই নারী (২৬)। কিন্তু বাইকে উঠে হেলমেট মাথায় দিতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফিরতে নিজেকে আবিষ্কার করেন অজ্ঞাত খোলা স্থানে।
এরপর তার সঙ্গে ঘটে হৃদয়বিদারক সব ঘটনা। চোখ খুলতে তিনি রাইড শেয়ার চালকের সঙ্গে দেখতে পান তার দুই সহযোগীকেও। চিৎকার করলে মেরে ফেলা হবে, এমন ভয় দেখিয়ে এরপর ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ধারণ করা হয় ভিডিও।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে ওই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। উদ্ধার হওয়ার পর এ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শাহপরান (৩০) নামের রাইড শেয়ারের এক মোটরসাইকেলচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পলাশ থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, আদালতে হাজির করা হলে ওই নারীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শাহপরান।
এদিকে, ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, মিরপুর-১২ থেকে শ্যামলী যেতে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল ভাড়া করেছিলেন কর্মজীবী ওই নারী। চালকের দেওয়া হেলমেট মাথায় পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের চেতনা-চিন্তাশক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। শ্যামলীর বদলে চালক তাকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে থাকলেও অদ্ভুত কারণে কোনো বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।
কয়েক ঘণ্টা চলার পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার একটি কালভার্ট সংলগ্ন নির্জন স্থানে এসে বাইক থামে। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা বাধাদানের শক্তিহীন এক শহুরে নারীকে সেখানে প্রথমে ধর্ষণ, নিজের মর্জিমতো দৃশ্য ও বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও ধারণ, আর সবশেষে সঙ্গে থাকা যাবতীয় পয়সাকড়ি কেড়ে নিয়ে নির্জন প্রান্তরে তাকে ফেলে রেখে দ্রুত সটকে পড়েন চালক। ভেবেছিলেন, হয়তো বেঁচে গেছেন। অজুত জনতার ভিড়ে কোনো রাইড শেয়ার চালক কোথাকার কোন নারীকে কোথায় নিয়ে কি করলো, কে মেলাবে তার হদিস!
কিন্তু আমাদের ভাবনাটা ভিন্ন ছিল। ফলাফল? ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রথমে নির্জন প্রান্তরে পড়ে থাকা সেই নারীকে উদ্ধার ও হাসপাতালে ভর্তি করা। তারপর মামলার ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই সোনার চানকে খাঁচায় আটকানো, আলহামদুলিল্লাহ। কীভাবে কী হলো, সে গল্প অন্যদিন হবে।
৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, আজ সবার, বিশেষ করে মা-বোনদের প্রতি এই নগণ্য পুলিশের অনুরোধ, রাইড শেয়ারের যানবাহনে চড়ার সময় দয়া করে একটু চোখ-কান খোলা রাখুন। কে জানে জনাকীর্ণ রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আরও কত জঘন্য সাইকোপ্যাথিক অপরাধী ওঁত পেতে বসে আছে রাইড চালকের বেশে। হয়তো অনাগত কোনো শিকারের প্রত্যাশায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।