জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হেলিকপ্টারে সাম্প্রতিক উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চিত বিষয়। নেটিজেনরা এর তুমুল সমালোচনা করছেন। এ অবস্থায় চলমান এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন উপদেষ্টা নিজেই, দিয়েছেন ব্যাখ্যাও।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।
পোস্টে উপদেষ্টা তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
১. প্রথমে গাড়িতে সফর প্ল্যান করা হলে ৬ দিনে শুধুমাত্র ১০ টি উপজেলায় সফর করা যাচ্ছিল। সফরের উদ্দেশ্য ছিল উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রস্তাবিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন, পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণ। উপদেষ্টা মহোদয় কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ উপজেলার জনসাধারণের কথা শুনতে চেয়েছেন৷ ফলে ৬ দিনে ২২ টি উপজেলা ভ্রমণের সিদ্ধান্ত হয় যা গাড়িতে কাভার করা অসম্ভব। তাই মন্ত্রণালয় থেকে সর্বনিম্ন খরচের মধ্যে হেলিকপ্টার হায়ার করা হয়।
২. বিগত ২ দিনের সফরে ঢাকা থেকে যাওয়া আসাসহ মোট ৬ বার হেলিকপ্টারে যাতায়াত করেন মাননীয় উপদেষ্টা। গত বুধবার একদিনে ঠাকুরগাঁও থেকে পঞ্চগড় এবং নীলফামারি এই তিন জেলায় মোট ৪ টি উপজেলায় ৫টি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। সড়কপথে এই একদিনেই প্রায় ২৫০ কিলোমিটারের সফর করে ৫টি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ অসম্ভব। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ঢাকার বাইরে থাকলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মন্থর হয়ে যাবে বলে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২২টি উপজেলা পরিদর্শন ও মতবিনিময়ের প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে হয়েছে। এ ছাড়াও সচিবালয়ে আগুন লাগার কারণে সফর স্থগিত করে ঢাকায় চলে আসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩. আগামী ৪ দিনে আরও ১৬ টি উপজেলা সফরের কথা থাকলেও সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায় তৎক্ষনাৎ সফর স্থগিত করে ঢাকায় ফিরে আসেন আসিফ মাহমুদ।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে আগুন লাগার কারণে উত্তরবঙ্গ সফর স্থগিত করে বৃহস্পতিবারই ঢাকায় চলে এসেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।