নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাতে সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শরিফুল ইসলাম নূরসহ (২৭) দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শরিফুল ইসলাম নূর চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড় গ্রামের বাসিন্দা। অপর ব্যক্তি হোটেলের ম্যানেজার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম নূর ও ওই স্কুলছাত্রী সোনাইমুড়ী বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনাইমুড়ীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন শরিফুল। এরপর তিনি পালিয়ে যান।
বিষয়টি থানা পুলিশ জানলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় রাতে সোনাইমুড়ী থানার ওসি ও একজন এসআই দুই ব্যাগ রক্ত দেন। বর্তমানে ওই কিশোরী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মো. মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাত থেকে তাকে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো আছে।’
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার ভোরে সোনাইমুড়ী নদনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নূরকে আটক করা হয়েছে। রাতেই ওই হোটেল থেকে ম্যানেজারকে আটক করা হয়। ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।