‘হ্যাঁ… তার সাথে আমার প্রেম’

অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায় মাঝে মাঝেই। দীর্ঘদিনের সেই গুঞ্জন নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী শাওন। মাজহারের জন্মদিনে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রেম বিষয়ক প্রসঙ্গটি তুলে ধরে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের বিদেশে চিকিৎসাকালীন একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন শাওন। যেখানে হ‌ুমায়ূনের বেডের পাশে বসে আছেন শাওন ও মাজহার। ওই স্ট্যাটাসে শাওন বলেন, ‘এই মানুষটার (মাজহার) সাথে আমাকে নিয়ে একটা কথা টুকটাক শোনা যায়। কথাটা বেশ অস্বস্তিকর। তার স্ত্রী আর আমি বিষয়টা নিয়ে চরম খুনসুটি আর হাসাহাসি করলেও আমাদের সাথে নতুন বন্ধুত্ব হওয়া কেউ কেউ একটু ইতং বিতং করে প্রসঙ্গটা তোলেন আর অপ্রস্তুত হয়ে বলেন ‘আহা! বাইরে থেকে কি ভুল ধারণা নিয়েই না ছিলাম!’ বলছিলাম আমার সবচাইতে কাছের প্রতিবেশী, হুমায়ূন আহমেদের পুত্রসম বন্ধু প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ভাইয়ের কথা।’

মাজহারের স্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে শাওন বলেন, ‘মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী তানজিনা রহমান স্বর্ণা ভাবি আমার সবচেয়ে কাছের সহচর। দিনের মধ্যে ৩/৪ বার দেখা করে সারাদিনের প্যাঁচাল নিয়ে বকরবকর না করলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই করোনাবন্দী সময়ে আমাদের আরেকটি অভ্যাস হলো ছাদে একসাথে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা তারপর বিছানায় আধশোয়া হয়ে অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বলা- ‘ভাল্লাগে না… এই অসাধারণ মানুষটির (স্বর্ণা) স্বামীর সাথে নাকি আমার প্রেম! হ্যাঁ… তার সাথে আমার প্রেম।’

মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক কেমন তা জানিয়ে শাওন লিখেন, ‘আমার কিশোরীবেলায় প্রণয়ের সময় আমি যখন হুমায়ূন আহমেদের সাথে ছেলেমানুষী রাগ করতাম তখন তিনি বড়ভাইয়ের মতো আমার ভুল ভাবনাগুলো ধরিয়ে দিয়ে আমাকে শান্ত করতেন। উনি আমার আরেক মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া বড়ভাই- তার সাথে আমার ভাইয়ের মতো প্রেম। কর্কট রোগের চিকিৎসা চলাকালীন সময় হুমায়ূন আহমেদের আপন ভাইদের যে দায়িত্ব ছিল সেই দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। কখনো বাজার করে আনা তো কখনো তার হ‌ুমায়ূন ভাইয়ের পছন্দের খাবারটা রান্না করে ফেলা যেন কেমোথেরাপির পর তিনি একটু খেতে পারেন। প্রায়ই রাতের বেলা এক বছরের নিনিতকে কোলে নিয়ে হেঁটে ঘুম পাড়াতেন যাতে করে আমি একটু বিশ্রাম পাই। হাসপাতালে হুমায়ূনের বিছানার পাশে একরাত আমি জাগি তো আরেক রাত তিনি জাগেন, আমার মতো করেই হুমায়ূন আহমেদের পা টিপে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। রক্তের সম্পর্ক না থেকেও তিনি হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই। আমি ওনাকে দেবরের মতো ভালোবাসি। নিনিত, নিষাদ আর আমার ছোট্ট পরিবারটি ছাড়া তাদের পরিবারের কোনো উৎসবই পূর্ণ হয় না! তাদের সব আনন্দের ভাগ যেন আমাদের না দিলেই নয়! তাদের ছেলে দু’টিও বড়ভাইয়ের মতোই আগলে রেখেছে আমার নিনিত-নিষাদকে। নিনিত, নিষাদ আর আমি- আমরা ৩ জনই তাদের পরিবারের সব্বাইকে অনেক অনেক ভালোবাসি…’