বিনোদন ডেস্ক : ‘হুমায়ূন আহমেদ একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি তাঁর প্রতিভার যে বহিঃপ্রকাশ বা অবদান রেখে গেছেন তার মূল্যায়ন আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষ করতে পারবে না। আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আজীবন তার প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা থাকবে।’—দেশের জনপ্রিয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সঙ্গে আলাপকালে প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নাট্য-চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন বরেণ্য অভিনেত্রী দিলারা জামান।
দর্শক প্রশংসিত নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত এ নাটক ১৯৮৫ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়। এতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন দিলারা জামান। এতে কাজ করতে গিয়েই হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে পরিচয় তার।
দিলারা জামান বলেন—‘‘আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। তখন হুমায়ূন আহমেদ ‘এইসব দিনরাত্রি’ নাটক নির্মাণ করছেন। আর এই নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নতুন করে দিলারা জামান আবার দর্শকের নজরে আসে। এরপর তাঁর আরো কয়েকটি নাটকে কাজ করে দর্শকের কাছে নন্দিত বা নিন্দিত হয়েছি আর কি!’’
হুমায়ূন আহমেদ অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সে সময়ের কথা উল্লেখ করে দিলারা জামান বলেন— ‘যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। কিন্তু মাজহার (মাজহারুল ইসলাম) ভাইয়ের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিতাম। দেশে ফেরার পর আমি আমার স্বামীকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম।’
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কে জানতো নেত্রকোনার এই সন্তান একদিন হয়ে উঠবেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান জননন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন তিনি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই পরপারে পাড়ি জমান এই শিল্পী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।