আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তীব্র বিদ্যুৎ সংকট ও লোডশেডিং কমাতে পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদ শহরে রাত ১০টার পর বিয়ে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে। একইসঙ্গে, বিয়ে অনুষ্ঠানে এক পদের বেশি খাবার পরিবেশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। খবর-জিও টিভির
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সংকট তীব্রতর রূপ নিয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি এক ঘন্টা পরপর লোডশেডিং করতে হচ্ছে। করাচি, লাহোর ও অন্যান্য শহরগুলোর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ। কোথাও কোথাও দৈনিক ১২-১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ব্যবহার ও লোডশেডিং কমাতে পাকিস্তান সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে অফিস-আদালতে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়িয়ে দুদিন করা হয়েছে। রোববারের পাশাপাশি এখন শনিবারও সরকারি-আধা সরকারি অফিস বন্ধ থাকছে।
একইসঙ্গে, বুধবার থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে রাত ১০টার পর বিয়ে অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জুন মাসের শেষ নাগাদ দৈনিক গড় লোডশেডিং দুই ঘন্টায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পাকিস্তান সরকার।
ডেইলি টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশনায় বিয়ে অনুষ্ঠানে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইসলামাবাদ পুলিশ ও নগর প্রশাসনকে এ নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জিও টিভি জানিয়েছে, রাত ১০ টার পর বিয়ে বন্ধের পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানে এক পদের বেশি খাবার পরিবেশন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ইসলামাবাদ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অচিরেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানির জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তহবিল নেই। ইসলামাবাদে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদের মতো বড় শহরগুলোতে পেট্রল স্টেশনের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। আরেক দফা জ্বালানির দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় পেট্রোল স্টেশনে ভিড় করছেন নাগরিকরা।
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। সোমবার দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ১৯০ মিলিয়ন ডলার কমে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়নে নেমেছে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানিয়েছে।
২০১৯ সালে আইএমএফের সঙ্গে উপনীত সমঝোতার আওতায় ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজ পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এ পর্যন্ত ওই অর্থের অর্ধেক পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ পেতে আইএমএফের সঙ্গে দেনদরবার অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।