নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের তুরাগ তীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। ইজতেমাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টাঙ্গানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ চলছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। এরই মধ্যে মাঠের কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তুরাগ নদীর পূর্ব তীরে ২ বর্গ কিলোমিটার ছামিয়ানার নিচে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা। আমরা সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবো যাতে ইজতেমা সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি জোরদার করা হবে। বিদেশী মুসল্লিদের ভিসার সমস্যা অতিদ্রুততার সঙ্গে সমাধান করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী মেহমানসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় আইন-শৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
গতবারের মতো এবারও জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে আলাদাভাবে দু’পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি ইজতেমা শুরু হয়ে ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্ব। পরে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই পর্ব।
ইজতেমায় আইনশৃংখলা রক্ষার ব্যাপারে জিএমপি পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, দু’পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের চার পাশে ১শ’ ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে গাজীপুর সিভিল সার্জন এর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও অ্যাজমা ইউনিট, বার্ন ইউনিট, হার্ট ইউনিট টঙ্গী হাসপাতালে চালু থাকবে। এছাড়াও ১৪টি এ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘন্টা মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে বলে সিভিল সার্জন কামরুজ্জামান জানান ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।