জুমবাংলা ডেস্ক: হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ১০ টাকা! তাও আবার ক্রেতা নাই! কদিন আগেও যারা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন তারা এখন কিনছেন বস্তায় বস্তায়।
এদিকে ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। অনেক আমদানিকারকের গুদামে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম, বলছেন আমদানিকারকরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে হিলি বন্দরের আমদানিকারকদের আড়তগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, অনেকেরই আড়ত ভর্তি পেঁয়াজ।
হিলি সিনেমা হলের সামনের একটি আড়তের ভেতরে দেখা গেল পচা পেঁয়াজ ফ্যানের বাতাসে শুকানো হচ্ছে। কেউ আবার শ্রমিক দিয়ে বাছাই করছে।
একটি গুদামে কর্মরত শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রতিদিন শত শত পাইকার আসেন। পেঁয়াজ বিক্রিও হয় প্রচুর। তবে আজ সকাল থেকে পাইকার নাই বললেই চলে। কিছু ছাল কাটা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১০টাকা কেজি দরে।
বন্দর এলাকায় আড়তের সামনে কথা হয় রাশেদ নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আড়তগুলোতে ভালো পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। তাই ৮ টাকা কেজিতে ৪০০ টাকা দিয়ে এক বস্তা ছাল কাটা পেঁয়াজ নিলাম। এগুলো শুকিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি গুদামে বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ পড়ে আছে। প্রচণ্ড গরমে পচে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। তবে ক্রেতা নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব গুদামে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ নিতে আসা ক্রেতারা। আজ তার ভিন্ন চিত্র। ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে ছাল কাটা পেঁয়াজ নেওয়ারও ক্রেতা নেই। যে দুই-একজন ক্রেতা পেঁয়াজ কিনছেন, একসঙ্গে কয়েক বস্তা করে কিনছেন তারা।
অন্যদিকে ভালোমানের পেঁয়াজ তারা বিক্রি করছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। অল্প খারাপ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে তিন দিন ধরে বিপাকে আছি। আমার অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে, ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে এই পেঁয়াজ নেওয়ার ক্রেতা পাচ্ছি না। প্রচণ্ড গরমে পেঁয়াজ আরও পচে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত রোববার (১০ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৪২ ট্রাক পেঁয়াজ এই বন্দরে আমদানি হয়েছে। চাহিদা তুলনায় আমদানি বেশি এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কম হওয়াতে বন্দরে ক্রেতা কমে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।