জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে কোনাবাড়িতে দশ মাস আগে সংগঠিত মাইন উদ্দিন (১৮) খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানায় কথা কাটাকাটির জেরে মাইন উদ্দিনকে খুন করে তার বন্ধু নুর জামাল মাতুব্বর (২১)।
গ্রেপ্তার নুর জামাল মাতুব্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার বড়পাল্লা আব্দুল্লাহবাদ এলাকার মজিবর মাতুব্বরের ছেলে। আর খুন হওয়া মাইন উদ্দিন ফরিদপুরের সদরপুর থানার ইব্রাহিম মুন্সিকান্দি এলাকার ইউসুফ শেখের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কোনাবাড়ির ইস্পাহানি ফুড লিঃ কোম্পানির নব নির্মিত ফ্যাক্টরি বিল্ডিং-৩ এর নিচ তলা থেকে মাইন উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন জাগায় গুরুতর জখমসহ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ইউসুফ শেখ বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় মামলা করেন। ঘটনার ৬ মাস পর ওই মামলা তদন্তভার জেলা পিবিআইয়ের কাছে অর্পন করা হয়।
পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী নুর জামাল মাতুব্বরকে মঙ্গলবার বরগুনার বেতাগী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্ততার করা হয়। পরে আসামীর ফরিদপুর নিজ বাড়ি থেকে মাইন উদ্দিনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নুর জামাল মাতুব্বর ঘটানার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরে তাকে আদালতে পাঠালে আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান আসামী প্রদত্ত জবানবন্দির বরাত দিয়ে বলেন, মাইন উদ্দিন ও নুর জামাল মাতুব্বর দুই বন্ধু একত্রে গত ১৬ জানুয়ারী ইস্পাহানী ফুড লিঃ কোম্পানির নব নির্মিত ফ্যাক্টরি বিল্ডিং-৩ এর মেটাল ক্যানোপির কাজ করার জন্য আসেন। তারা উভয়ই ওই নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলায় রাত্রী যাপন করতেন। ঘটনার আগের দিন (২০ জানুয়ারি) আসামী নির্মাণাধীন ভবনের একটি সেড তৈরি করতে ভুল করে।
এ জন্য ঠিকাদার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এতে আসামী ওই কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২১ জানুয়ারী রাত ১১টার দিকে ফ্যাক্টরি হতে চলে যাওয়ার সময় মাইন উদ্দিনের সাথে তার কথা কাটাকাটি ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসামী নুর জামাল মাতুব্বর ভিকটিম (মাইন উদ্দিন) কে মুখে, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘুষি মেরে রুমের মধ্যে থাকা লোহার এঙ্গেলে ফেলে দিলে মাইনউদ্দিনের গলা কেটে যায়।
এ সময় মাইন উদ্দিন চিৎকার শুরু করলে আসামী তার মুখ ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মাইন উদ্দিনের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। একটি মোবাইল ফোন ভাঙ্গা থাকায় আসামী ঢাকা হতে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে ফেলে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।