১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র নিয়ে জনসাধারণের আগ্রহ এবং উত্তেজনা প্রমাণ করে যে এই সঞ্চয় ও লটারি ভিত্তিক ব্যবস্থা বাংলাদেশের আর্থিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতি তিন মাস অন্তর এই ড্র অনুষ্ঠিত হয়, যা শুধুমাত্র বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে না, বরং জনগণের মাঝে আশার আলো জাগিয়ে তোলে। এপ্রিল ২০২৫ এর এই ড্র অনেকের জন্য অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র: এপ্রিল ২০২৫ এর ফলাফল ঘোষণা
১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে, সকাল ১০:০০ টায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে। এটি ছিল একটি একক সাধারণ ড্র সিস্টেমের অধীনে পরিচালিত ড্র। এতে ৬৮টি সক্রিয় সিরিজের প্রত্যেকটিতে ৪৬ জন বিজয়ী নির্বাচিত হয়।
Table of Contents
প্রতিটি সিরিজে নিম্নলিখিত পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে:
- ১ম পুরস্কার: ৬,০০,০০০ টাকা – প্রতি সিরিজে ১ জন
- ২য় পুরস্কার: ৩,২৫,০০০ টাকা – প্রতি সিরিজে ১ জন
- ৩য় পুরস্কার: ১,০০,০০০ টাকা – প্রতি সিরিজে ২ জন
- ৪র্থ পুরস্কার: ৫০,০০০ টাকা – প্রতি সিরিজে ২ জন
- ৫ম পুরস্কার: ১০,০০০ টাকা – প্রতি সিরিজে ৪০ জন
পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে এবং ১ মে দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাইজবন্ড ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে?
বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড একটি নিরাপদ সঞ্চয় মাধ্যম, যার মূল্য ধরা হয় ১০০ টাকা। এই বন্ড একবার কিনে ফেললে এটি পরবর্তী প্রতিটি ড্রতে অংশগ্রহণের যোগ্য হয় যতদিন না এটি নগদায়ন করা হয়। প্রতিটি ড্রতে একই নম্বর সব সিরিজে বিজয়ী হয়, ফলে বিজয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রাইজবন্ড ড্র প্রতি বছর চারবার অনুষ্ঠিত হয়:
- ৩১ জানুয়ারি
- ৩০ এপ্রিল
- ৩০ জুলাই
- ৩১ অক্টোবর
ফলাফল জানার উপায়সমূহ:
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট
- PBRIS সফটওয়্যার
- স্থানীয় পত্রিকা ও ব্যাংক/ডাকঘর
বন্ড নম্বর দিয়ে PDF ফাইলে বা অনলাইন সফটওয়্যারে ফল যাচাই করা যায়।
প্রাইজবন্ড: একটি নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ
সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত এই বন্ডগুলো সুদহীন হলেও আকর্ষণীয় পুরস্কারের সুযোগ থাকায় এটি একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম। বিশেষ করে ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি ঝুঁকিমুক্ত সঞ্চয় ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
পূর্ববর্তী ফলাফল সংরক্ষণ ও স্বচ্ছতা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পূর্ববর্তী ড্রয়ের ফলাফল PDF ফাইল আকারে পাওয়া যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পুরস্কার দাবি করার পদ্ধতি
যদি আপনার বন্ড নম্বর বিজয়ী হয়, তাহলে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র এর মূল বিষয়সমূহ
- ড্র তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- অবস্থান: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কক্ষ
- ড্রয়ের ধরন: একক সাধারণ ড্র
- সিরিজ সংখ্যা: ৬৮টি
- বিজয়ী: প্রতি সিরিজে ৪৬ জন
প্রাইজবন্ড ব্যবস্থা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই ব্যবস্থা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে এবং সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলে। এটি স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করে—বিনা ঝুঁকিতে মূলধন সংরক্ষণ এবং পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা।
১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র: সামনে কী?
পরবর্তী ড্র ১২০তম অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে। অংশগ্রহণকারীদের উচিত তাদের বন্ড নিরাপদে রাখা এবং ফলাফল নিয়মিত যাচাই করা।
১১৯তম প্রাইজবন্ড ড্র আবারো প্রমাণ করেছে যে একটি সাধারণ সঞ্চয় পদ্ধতিও মানুষের জীবন পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।
ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
প্রশ্নোত্তর (FAQs)
এক বছরে কতবার প্রাইজবন্ড ড্র হয়?
প্রতি বছর চারবার—৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩০ জুলাই এবং ৩১ অক্টোবর।
১১৯তম ড্র এর ফল কোথায় পাব?
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, পত্রিকা, ব্যাংক বা ডাকঘরে ফল পাওয়া যাবে।
১১৯তম ড্র-এ প্রথম পুরস্কার কত?
প্রথম পুরস্কার প্রতি সিরিজে ৬,০০,০০০ টাকা।
প্রতি ড্রতে মোট কতজন বিজয়ী হয়?
প্রতি সিরিজে ৪৬ জন করে বিজয়ী হয়, পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।
প্রাইজবন্ডের পুরস্কার করমুক্ত কি?
নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে প্রাইজবন্ডের পুরস্কার করমুক্ত।
পুরস্কার দাবি কীভাবে করব?
ফর্ম পূরণ করে প্রমাণসহ ব্যাংকে জমা দিন; যাচাই করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।