আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে একটি কারখানায় রোববার (০৮ ডিসেম্বর) আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছে ৪৩ জন। স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় দিকে দিল্লির নিকটবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ এক বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানাটিতে ৫০ জনেরও বেশি শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিল। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
আগুন লাগার ঘটনাকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে এ ঘটনায় হতাহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্ত কেজরিওয়াল। এছাড়াও, এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে জীবন বাজি রেখে ১১ জনকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী রাজেশ শুক্লর। এতে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। বর্তমানে রাজেশ হাসপাতালে ভর্তি। আনাজ মান্ডির জতুগৃহে প্রথম ঢুকেছিলেন রাজেশ। ১১ জনকে বাঁচিয়েছেন তিনি। উদ্ধারকাজে গিয়ে তাঁর পা জখম হয়েছে।
রাজেশকে দেখতে হাসপাতলে গিয়েছিলেন দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সঙ্গে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। হর্ষ বর্ধন টুইটে লিখেছেন, ‘রাজেশ শুক্লকে সালাম। নিজে আহত হয়েও পিছিয়ে যাননি। তিনি এবং অন্য দমকল কর্মীরা পিঠে করে বেশ কয়েক জনকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনেছেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
সত্যেন্দ্রও টুইটারে রাজেশের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘রাজেশ শুক্ল আসল নায়ক। আগুনের ভিতরে তিনি সবার আগে ঢুকে ১১ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। পায়ে আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও শেষ অবধি নিজের কাজটা করে গিয়েছেন তিনি। সাহসী এই নায়ককে স্যালুট জানাই।’
রাজেশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জীবনে এখনও পর্যন্ত সাত হাজার ফোন পেয়েছি আগুন নেভানোর জন্য। করোল বাগের হোটেল অর্পিত প্যালেস এবং সম্প্রতি এইমস হাসপাতালের আগুন নেভাতে গিয়েছি। কিন্তু মৃতের সংখ্যার দিক থেকে আজকের আগুন সবচেয়ে মারাত্মক।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।