জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে করতে নিজেই সংক্রমিত হন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) করোনা ল্যাব প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ। শরীরে বেশ কয়েক ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থাকা সত্ত্বেও ১১ দিনে করোনাজয় করেছেন ৫৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। আর করোনামুক্তির পদক্ষেপের কথা সবাইকে জানালেন তিনি।
ডা. শাকিল আহমেদ ফেসবুকে লিখেন, আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর করোনাভাইরাসকে জয় করেছি। ১২ বছর ধরে প্রেশার ও কিছু হার্টের সমস্যা ছিল। তবে তার ডায়াবেটিস ছিল না। প্রেশার ও হার্টের সমস্যা থাকার কারণে ঝুঁকিতে ছিলাম। এতো ঝুঁকির মাঝে করোনামুক্তির গল্প শুনতে চেয়েছেন অনেকে।
মনোবল ঠিক রাখতে হবে: প্রথম দিকে বাসাতে একটি কক্ষে আলাদা থাকতে হবে। রাতে ঘুমানো ছাড়া সারাদিন ঘুমিয়ে বা শুয়ে থাকা যাবে না। কিছু বিশ্রাম বাদে বাকি সময় পায়চারি করে, বসে, বই পড়ে, মোবাইল বা নামাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
হালকা ব্যায়াম: উঠবস করে, কোমর বাঁকিয়ে ও হাত প্রসারিত করে দুই বেলা ব্যায়াম করতাম।
ফুসফুসের ব্যায়াম: করোনা শ্বাসযন্ত্রের অসুখ হওয়ায় ফুসফুসের ব্যায়াম জরুরি। সোজা দাঁড়িয়ে লম্বা শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রেখে ছেড়ে দিতাম। ৫-৬ বার করে একটু থেমে আরেকবার রিপিট করতাম।
একবার বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে বুকে বালিশ রেখে পিঠের দিকটা ফুলিয়ে জোরে শ্বাস নিয়ে ছাড়তাম তিনবার। বন্ধ হয়ে থাকা এলভিওলাইগুলো সচল করতে এটা খুব উপকারী।
শ্বাসনালী পরিস্কার রাখা: পানি ফুটানোর বাষ্প দিনে ২-৩ বার লম্বা শ্বাস টেনে গ্রহণ করেছি। নাক বন্ধ থাকলে মেন্থল বা কিছু মসলা দেয়া যেতে পারে। তবে আমি মসলা ব্যবহার করিনি।
গলা পরিষ্কার রাখা: বাষ্প নেয়া শেষ হলে সেই পানিতেই একটু লবন মিশিয়ে তিনবার গড়গড়া কুলি করেছি।
পানীয়: গরম আদা চা ৩-৪ বার খেতেন। প্রচুর পানি (গরম নয়), লেবু চিপে চিনি লবন দিয়ে শরবত খেতাম। মাল্টার রস খেয়েছি।
খাবার: কিছু বেছে খাইনি। প্রচুর প্রোটিন খেয়েছি। সকালে দুটো ডিম, দুপুরে ও রাতে মাংস, মুরগী বা বড় মাছ। ফাঁকে সবধরনের ফল খেয়েছি।
চিকিৎসা: করোনার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হয়। সর্দি আর গায়ে ব্যথা ছিল। যার জন্য কোনো ওষুধ নেইনি। প্রেশারের ওষুধ আর এসপিরিন ছাড়া নিয়মিত কিছু খাইনি। ওষুধের ব্যাপারে পরামর্শ হলো- ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন। কোনো ওষুধই রিকমেন্ড করতে চাই না।
সতর্কতা: সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো- ওয়ার্নিং সাইন বুঝা। পালস অক্সিমিটার সঙ্গে রাখবেন ও চারবার চেক করবেন। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। বয়স কম হলে বাসায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।