আপনি যদি স্কটল্যান্ড এর ফ্লান্নানেস দ্বীপে যান তাহলে একটি লাইট হাউস দেখতে পাবেন। এটি একটা সময় সমুদ্রের জাহাজের পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করত। ১৯০০ সালে এ লাইট হাউজ নিয়ে অদ্ভুত একটি ঘটনা ঘটে যান রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
হঠাৎ করে লাইট হাউজের লাইট নিভে যায় ও পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায়। ওই সময় এক জাহাজের ক্যাপ্টেন ঘটনাটি রিপোর্ট করেন। ওই ক্যাপ্টেন লাইট হাউসে গিয়ে যা দেখেছিলেন তা তাকে রীতিমতো বিস্মিত করেছে। লাইট হাউজের তিনজন স্টাফ মেম্বার থাকার কথা ছিল কিন্তু তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই তিনজনকে পুরো দ্বীপে খুঁজে কোথাও পাওয়া যায়নি। জেমস, থমাস ও ডোনাল্ড নামক তিনজনকে ওই লাইট হাউজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই তিনজনের খোঁজ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সে সময় উত্তরা আটলান্টিক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী হয়।
ওই রাতে একসাথে সিঁড়িবে উপরে উঠে যা দেখা যায় তা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। ঘরের মধ্যে ঘড়ি থমকে গিয়েছিল। হঠাৎ এক শীতল বাতাস সবাইকে ধাক্কা দেয়। জীবিত প্রাণী বলতে একটি পাখি সেখানে আটকে ছিল। আর কেউ সেখানে ছিল না।
রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল যে ঘরের মধ্যে ঢুকে কোন একটি সমস্যা হয়েছে বলে অনুধাবন করা হয়। তদন্ত যত সামনে এগিয়েছে রহস্য ততই বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুমান করা হয় প্রবল ঝড় হয়তো উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল তিন স্টাফ মেম্বারকে।
তবে ওই তিনজন মারা গিয়েছেন নাকি বেঁচে ছিলেন সেটি নিয়ে কোন স্পষ্ট তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত নন। আবার এটাও বলা হয় যে, এই দ্বীপ থেকে তারা একসাথে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আবারো তিনজন একে অপরের সাথে শত্রুতা করে হত্যা করতে পারে এ ধরনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।