Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ১৩৪ বছর আগে তৈরি হয় জিনের মসজিদ! রাতে ভেসে আসত জিকিরের আওয়াজ
    ইসলাম ধর্ম বিভাগীয় সংবাদ

    ১৩৪ বছর আগে তৈরি হয় জিনের মসজিদ! রাতে ভেসে আসত জিকিরের আওয়াজ

    ronyMay 19, 20225 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নান্দনিক স্থাপনার ‘মসজিদ-ই-জামে আবদুল্লাহ’। যা জিনের মসজিদ নামে বেশি পরিচিতি। রায়পুর পৌর এলাকার দেনায়েতপুর গ্রামে মসজিদটি ১৮৮৮ সালে নির্মিত হয়েছে। “অসংখ্য জিন রাতের আঁধারে মসজিদটি নির্মাণ করেছে। কিংবা মসজিদটি তৈরিতে টাকার যোগান দিয়েছে জিনেরা। নির্মাণের কয়েক বছর তারা ওই মসজিদে ইবাদতও করেছে। গভীর রাতে তাদের জিকিরের আওয়াজ ভেসে আসত। ” এমন অনেক জনশ্রুতি রয়েছে মসজিদটিকে ঘিরে। যদিও সচেতন মহল এগুলোকে গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। বাংলানিউজ-এর প্রতিবেদক নিজাম উদ্দিন-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।

    ইতিহাস বলছে, মাওলানা আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ১৮৮৮ সালে কারুকার্যে খচিত মসজিদটি নির্মাণ করিয়েছেন। তিনি ১৮২৮ সালে রায়পুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসায় দীর্ঘ ১৭ বছর লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। দিল্লির শাহি জামে মসজিদের নকশা অনুযায়ী ১৮৮৮ সালে এ মসজিদ ও মসজিদের পাশে একটি কওমি মাদরাসা ও মুসাফিরখানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। মসজিদের এক তৃতীয়াংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার পর তার মৃত্যু হয়। এরপর তার ছেলে মাওলানা মাহমুদ উল্যা মসজিদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন। বর্তমানে মাদরাসাটি চালু থাকলেও মুসাফিরখানা বন্ধ রয়েছে। মসজিদের সামনে রয়েছে একটি দিঘি, তার পাশে রয়েছে ২৫ ফুট উচ্চতার একটি মিনার।

    Advertisement

    ৫৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট এবং প্রস্থ ৭০ ফুট। এ মসজিদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ চারটি মিনার। ইটের তৈরি আদি এ স্থাপনায় মিনার, গম্বুজ ও মূল ভবনের নকশায় রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।

    মসজিদের ভিটির উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। মসজিদে প্রবেশের জন্য ছিল ১৩ ধাপ সিঁড়ি। দেয়ালের প্রস্থ আট ফুট। মসজিদের তলদেশে ২০ থেকে ২৫ ফুট নিচে রয়েছে একটি গোপন ইবাদতখানা। সেখানে প্রবেশে মসজিদের দক্ষিণ পাশে রয়েছে পাকা সিঁড়ি। সে গোপন ইবাদতখানা এখন কূপে পরিণত হয়েছে, সেখানে সব সময় কম বেশি পানি জমে থাকে। যা নিয়ে দর্শনার্থী এবং স্থানীয়দের মাঝে এখনো কৌতূহল রয়ে গেছে।

    তবে মসজিদ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মসজিদের তলদেশে থাকা পাকা গোপন ইবাদতখানায় প্রতিষ্ঠাতা মৌলভি আবদুল্লাহ সাহেব আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। তার মৃত্যুর ক’বছর পর ওই কক্ষ পানি ভর্তি কূপে পরিণত হয়।

    মসজিদ তৈরিতে জিন নিয়ে গল্পের সত্য মিথ্যা যাই থাকুক, প্রতিদিন এ নান্দনিক স্থাপনা দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন মসজিদ প্রাঙ্গণে।

    তবে বর্তমানে মসজিদ সংস্কার এবং এর পরিধি বিস্তৃত করার কারণে ১৩৪ বছর আগের সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। মসজিদের মূল ফটকের সামনেই নতুন করে স্থাপনা তৈরির কারণে চাপা পড়েছে সামনের অংশ, যেটি দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করত। এছাড়া নতুন স্থাপনার কারণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মসজিদের ওপরে থাকা তিনটি গম্বুজ। ফলে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য রক্ষায় মসজিদের মূল ফটক এবং স্থাপনা বাদ রেখে সংস্কারের দাবি জানান আগত দর্শনার্থীরা।

    এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাব্বির মসজিদের আর্থিক দূরাবস্থা জানিয়ে বলেন, মসজিদটির অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মসজিদ পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। দান-অনুদান না থাকায় সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    মসজিদের প্রধান খতিব ও অন্যতম উন্নয়ন পৃষ্ঠপোষক মাওলানা হেফজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ মাওলানা আবদুল্লাহ মসজিদটি নির্মাণ করিয়েছেন। তবে মসজিদের বারান্দার অংশ নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। তার সেই কাজটি সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। মসজিদের মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে গত কয়েক বছর আগে সামনের অংশে বারান্দার কাজ শুরু করি। তবে আর্থিক সংকটের কারণে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কোনো আর্থিক অনুদান পেলে কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

    ছবি-সংগৃহীত

    নতুন কাজের কারণে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদের সৌন্দর্যের ক্ষতি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নকশার আদলে বারান্দার কাজ করা হচ্ছে, সেটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।

    মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কে তিনি বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ সাহেব ইয়েমেনী বংশধর। বাদশা আওরঙ্গজেবের আমলে তার পূর্ব পুরুষ ইয়েমেন থেকে দিল্লিতে আসেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের সন্দ্বীপে, সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের দালালবাজারে আবাস গড়েন তারা। পরে রায়পুরে এসে আবদুল্লাহর বাবা রহমত উল্যা মিয়াজী বসতি স্থাপন করেন। তার একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ ১৮৬৭ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশ দেওবন্দে লেখাপড়া করতে যান। সেখানে ১৩ বছর লেখাপড়া করেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করেন। সেখানে কয়েক রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন একটি মসজিদ নির্মাণ করছেন। সেখান থেকে নকশা তৈরির কারিগরদের মাধ্যমে দিল্লি জামে মুসজিদের নকশা নিয়ে এসে এ মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, মসজিদটি ইরানি নির্মাণ শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। তুরস্কের কারিগররা এ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের মসজিদ তৈরি করতেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে ভারত থেকে মিস্ত্রি এনে এ মসজিদ নির্মাণ করিয়েছেন আবদুল্লাহ। সব মিস্ত্রি হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিলেন। মসজিদ তৈরিতে অর্থের জোগান দিয়েছেন আবদুল্লাহ সাহেবের ভক্ত এবং অনুসারীরা। এছাড়া বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দান-অনুদান নিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।

    জিনের গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মসজিদটিকে ঘিরে জিনের মসজিদ বলে যে প্রচার রয়েছে- সেটি সম্পূর্ণ গুজব। তৎকালীন অজপাড়াগাঁয়ে এ ধরনের কারুকার্য খচিত মসজিদ দেখে অনেকের মনে হয়েছে যে এটি মানুষের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই জিনের তৈরি বলে গুজব সৃষ্টি করেছেন তারা।

    মসজিদের নিচে পানি থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবদুল্লাহ সাহেব একজন বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। মসজিদের নিচে যে গুহাগুলো আছে, তার একটিতে তিনি ধ্যান করতেন। মসজিদের নিচে নয়টি গম্বুজ এবং চারটি পিলার আছে। তার ওপরে মসজিদের ভিত্তি। সম্ভবত ১৯৫৫ সালের দিকে একটি ভূমিকম্পে গুহায় ফাটল ধরে। এর পর থেকে নিচ থেকে পানি উঠে গুহা ভর্তি থাকে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা মসজিদটি দেখভাল করে আসছিলেন। এখন আমরা করছি। এটি ওয়াকফ করা হয়েছে। ওয়াকফের মোতোয়ালি (ধর্মীয় অথবা দাবত্য প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক) মাওলানা আবু বকর লুৎফর রহমান।

    জুতোপেটা খেয়ে নিজের জন্মস্থান গ্রামই ছাড়তে হয়েছিল পি কে হালদারকে

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ১৩৪ আওয়াজ আগে আসত ইসলাম জিকিরের জিনের তৈরি ধর্ম বছর বিভাগীয় ভেসে মসজিদ রাতে সংবাদ হয়
    Related Posts
    Manikganj

    মানিকগঞ্জে হেলমেট-মাস্ক পড়ে আবারো নিষিদ্ধ আ. লীগের ঝটিকা মিছিল

    July 2, 2025
    Manikganj Thana

    নির্যাতনে অতিষ্ঠ গৃহবধুর আত্মহত্যা, স্বামী-শশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    July 2, 2025
    Soudi

    খাগড়াছড়িতে আরবের খেজুর চাষে মিলেছে সাফল্য

    July 2, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Dyson V12 Detect Slim: Price in Bangladesh & India

    Dyson V12 Detect Slim: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    LG WashTower Compact: Price in Bangladesh & India

    LG WashTower Compact: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Honey-Trap-hot-web-series

    মুক্তি পেল নতুন রহস্যময় ওয়েব সিরিজ, না দেখলে চরম মিস!

    mark chen openai

    Mark Chen Vows Loyalty as OpenAI Faces Meta’s AI Talent Raids

    বিবাহিত মেয়ে

    কোন কাজ বিবাহিত মেয়েরা প্রতিদিন করে, কিন্তু অবিবাহিত মেয়েরা পারেনা

    Redmi Smart Fire TV 43: Price in Bangladesh & India

    Redmi Smart Fire TV 43: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    LPG

    এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে বড় সুখবর

    Honor Magic Vs2: Price in Bangladesh & India

    Honor Magic Vs2: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    তেজপাতা

    এক তেজপাতাতেই সর্ব রোগের বিনাশ, রইল খাওয়ার নিয়ম

    ওয়েব সিরিজ

    নতুন ওয়েব সিরিজ নিয়ে উত্তেজনা, দর্শকদের মুগ্ধ করছে অভিনয়!

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.