খাদ্যমূল্যের স্ফীতি কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। এটি বর্তমানে ১৩ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে অবস্থান করছে। নানা উদ্যোগ নেওয়া হলো নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। নীতি সুদহার বাড়ানোর বিষয়টি বাস্তবায়িত হলেও ফলাফল শূন্য।
বর্তমান অর্থবছরেই নতুন মুদ্রানীতি লক্ষ্য করা যাবে। এ মুদ্রানীতের সবথেকে মূল টার্গেট হবে টাকার মান স্থিতিশীল রাখা। টাকার মান যেন কমে না যায় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা এবং বিদেশী মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বিষয় নজর রাখা। তাছাড়া মূল্যস্ফীতির সমস্যার একটি সমাধান করা হলেও নীতি সুদহার পরিবর্তিত হবে এ ধরনের কোন সম্ভাবনা নেই।
বিনিয়োগে আগ্রহ নেই বিদেশীদের। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে যেহেতু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি চলছে তাই সুদহার বারানোর সম্ভাবনা নেই। অর্থনৈতিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, এখন রেপো রেট ১০ শতাংশ, এটাই তো ইঙ্গত দেয় এখানকার অবস্থাটা কী। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কিন্তু আমরা গত ৬ মাসে দেখতে পাই নাই। সমস্যা হয়তো অন্য কিছু। বাংলাদেশ ব্যাংক এ নিয়ে এখন যেই অবস্থায় (সংকোচন) পৌঁছে গেছে, আমার মনে হয় আর এটাকে দীর্ঘ করার বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত নাই। যদি করা হয়, সেটার ফল পাইতে হবে।
বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হলেও এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। দীর্ঘদিন এ ধারা অব্যাহত থাকলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলছিলেন, এখানে সুদের হার অনেক উচ্চ হয়ে গেছে, ঋণের চাহিদা কমে গেছে। প্রাইভেটি ক্রেডিট গ্রোথ ৭-৮ শতাংশে চলে আসছে। আমাদের জন্য এটা আশঙ্কাজনক। আমরা ভয় পাচ্ছি, এ দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ ইনফরমাল সেক্টরে ক্রেডিট গ্রোথ যদি এত কম থাকে, তা অর্থনীতির জন্য আশঙ্কাজনক। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এবার অন্য সময়ের তুলনায় খুব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
নতুন মুদ্রানীতিতে যেসব টার্গেট সেট করা হবে তা যেন দৃশ্যমান হয়। এমনটাই আশা করছেন ব্যাংকাররা। অর্থনীতি ঠিক পথে রাখার জন্য বাজারে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসাটা খুবই জরুরী। ঋণ বিতরণে উৎপাদশীল খাত যেন গুরুত্ব পায় সেদিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।