করোনাভাইরাস মহামারীর সংক্রমণরোধে চলমান বিধিনিষেধ ১৪ জুলাইয়ের পরও থাকছে। তবে ঈদুল আজহা ও দেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে বিধিনিধের কঠোরতা কিছুটা কমবে। তবে এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে বিকেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ আরো বাড়তে পারে।
করোনার সংক্রমণরোধে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয় দেশব্যাপী।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত ২৪ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
তবে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনার সংক্রমণ বা মৃত্যু কোনোটিই কমেনি গত ১০ দিনে। বরং প্রায় প্রতিদিনই সর্বোচ্চ সংক্রমণ আর মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশিত সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এক দিনে করোনায় এত মৃত্যু ও শনাক্ত এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।