জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ২৪ বছর আগে এক কলেজ শিক্ষিকাকে অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়া (৪৮) গ্রেফতার হয়েছেন। ১৪ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে তিনি এত দিন বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গোকর্ণঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোহেল মিয়ার বাড়ি উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে; বাবার নাম নুরুল হক।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কলেজের এক শিক্ষিকাকে ১৯৯৭ সালে এলাকার বখাটে সোহেল তাঁর দলবল নিয়ে অপহরণ করেন। পরে তাঁকে জোরপূর্বক বিয়েও করেন। এ ঘটনার পর অপহৃত নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সোহেলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মসিউর রহমান গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘২৪ বছর আগের চাঞ্চল্যকর এ অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামি সোহেল দীর্ঘদিন প্রবাসে পলাতক ছিলেন। দেশে আসার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গত রাতে গ্রেফতার করা হয়।’
নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন জানান, ১৯৯৮ সালে আদালতের রায়ে দণ্ডিত আসামি সোহেলকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।