জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বাল্যবিয়ে করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক ইউপি চেয়ারম্যান। তৃতীয় বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ওই চেয়ারম্যান।
উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সরকার বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার পরও একজন ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই কিভাবে বাল্যবিয়ে করেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়ার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর (১৪) ওপর নজর পড়ে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের।
এরপর ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। গতকাল রোববার রাতে মেয়েটির পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের এক স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে এর আগেও তিনি আরও একটি বিয়ে করলেও সেটি বেশিদিন টেকেনি। চেয়ারম্যানের তৃতীয় বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
উলিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, যেহেতু বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর সুযোগ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।