জুমবাংলা ডেস্ক : প্রায় ১৪ বছর ধরে বন্ধ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) স্থাপিত ভূমিকম্প পরিমাপক (সিসমোগ্রাফ) যন্ত্রটি। ২০১০ সালে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে যন্ত্রটি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়। কিন্তু যন্ত্রটি বন্ধ থাকায় শুক্রবারের ভূমিকম্পেও যন্ত্রটি কাজে আসেনি। যদি ২৪ ঘণ্টা এ যন্ত্র মনিটর করা হয় তাহলে জনগণকে ভূমিকম্প সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি জানমালের ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যন্ত্রের অংশ বিশেষ (প্লেট) মাটির নিচে থাকে। এই প্লেটের সাহায্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূমির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ ভূমির অবস্থান ওপরে উঠছে, নাকি নিচে নামছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাছাড়া নিজস্ব কিংবা সরকারি অর্থে ব্যয়বহুল এই যন্ত্র নতুন করে স্থাপন সম্ভব নয়।
তবে বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় এই যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে ভুমিকম্পের আগাম বার্তা দেয়া সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্যাম্পাসে স্থাপিত যন্ত্রটি শুধু অতি পুরাতন নয়, এটি একটি এ্যানালগ মেশিন। আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প নিরীক্ষণের আরও আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পবিপ্রবিতে বসানো যন্ত্রটির কার্যকারিতা আদৌ এখন আছে কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না।
তবে ভূমিকম্প এর জন্য জাপানের ন্যায় আমাদের দেশেও মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম তৈরি কওে অত্যাধুনিক যন্ত্র স্থাপন করে সিসমিক এর উপরে গবেষণা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে উপাচার্য মন্তব্য করেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। যার উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার।
৭ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্প বড় ধরনের বলে গণ্য করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।