জুমবাংলা ডেস্ক: বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার কোলের মধ্য থেকে ১৫দিন বয়সী শিশু সানজিদা চুরি ও তিনদিন পরে পুকুরে মরদেহ পাওয়ার ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন শিশুটির মা শান্তা আক্তার (২২)। মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পরে গতকাল শুক্রবার পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা আক্তার তার মেয়েকে নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে স্বীকার করেন। জিনের আছর ভর করার কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানান।’
এরপর এদিন রাতেই শান্তাকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠান থানা পুলিশ। কোর্টেও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন ওসি ঠাকুর দাশ মন্ডল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে গাবতলা গ্রামের সুজন খানের শিশুকন্যা সানজিদাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হয়েছিল, শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে। সোমবার রাতে শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার তিন দিন পর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে সোহানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খানও জেলহাজতে আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।