আজকাল আমরা মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সবসময় ফাস্ট চার্জার দেখে কেনার চেষ্টা করে থাকি। নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে আমরা ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত মোবাইলকে সবার আগে বেঁছে নেই।
ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ৩৩ ওয়াটের চার্জার ছিল স্ট্যান্ডার্ড। বর্তমানে নতুন অনেক স্মার্টফোনগুলোতে ৬৭ ওয়াটের চার্জার ব্যবহূত হচ্ছে। কিছু ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে ১২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দিয়ে আসতেছি।
কিন্তু সম্প্রতি কোম্পানিগুলো ১৫০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার নিয়ে কাজ করতেছে।
টিপস্টার ডিজিটাল স্টেশন তাদের উইবো অ্যাকাউন্টে জানায়, শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে ১৫০ ওয়াটের চার্জারের। বর্তমানে ১২০ ওয়াটের চার্জার দিয়ে ২০ মিনিটে শতভাগ চার্জ দেয়া যায়। ১৫০ ওয়াটের চার্জার এলে সময় আরো কমে আসবে।
১২৫ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তিটি ২০ মিনিটের মধ্যে ৪,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারির কোনো ফোনকে ফুল চার্জ (০ থেকে ১০০%) করে দেয়। কিন্তু কোম্পানিগুলি আরও দ্রুততর চার্জিং প্রযুক্তি আনার কথা ভাবছে। সেক্ষেত্রে নতুন ১৫০ ওয়াট চার্জিং সলিউশনটি যে ১২৫ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তির চেয়ে আরো কম সময়ে এবং বেশি স্পিডে ফোন চার্জ করবে – তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে এতটুকু পড়ে যারা অবাক হলেন তাদের অবগতির জন্য বলি, চীনা টেক জায়ান্ট Xiaomi (শাওমি) ইতিমধ্যেই ২০০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তি সামনে এনেছে৷ তাই নতুন খবরটি ইতিবাচক হলেও এতে চমকের কিছু নেই। ববং এই প্রযুক্তির কারণে ব্যাটারি ডিগ্রেডেশন বা অবক্ষয়ের বিষয়টি আমাদের চিন্তার কারণ হতে পারে।
আসলে সম্প্রতি Xiaomi এবং Oppo (অপো) জানিয়েছে যে, তাদের ১২০/১২৫ ওয়াট চার্জিং সলিউশনে কোনো ফোন ৮০০ বার চার্জের পর (পড়ুন ২ বছর ধরে চার্জ হওয়ার পর) তার ব্যাটারি ক্যাপাসিটির ২০% অবনতি ঘটে। ফলত এটি দীর্ঘ সময় ধরে একটি ডিভাইস ব্যবহার করার পরিকল্পনাকারী ইউজারদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যদিও এখন একাংশ ইউজারই ২ বছরের মধ্যে ফোন পরিবর্তন করে থাকে। তাছাড়া সময়ের সাথে প্রযুক্তির এই ফলাফলটিকেও বিবেচনা করে উন্নত করা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।