বর্তমানে বলিউডের অধিকাংশ নায়িকাই সঠিক সময়েই বিয়ে করে সংসারে ঝুঁকছেন। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন সংসার-সন্তান থাকা মানেই সিনেমায় কাজের সুযোগ পেতেন না একজন নায়িকা। যে কারণে অল্প বয়সে বিয়ের কথা চিন্তাও করতেন না অভিনেত্রীরা।
তবে তাদের মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করে ১৭ বছরেই সন্তানের মা হন এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিজীবনে ডিম্পল বিয়ে করেছিলেন নিজের চেয়ে ১৫ বছরের বড় একজন অভিনেতাকে।
বাবার পথ ধরে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বলিউডে পা রাখেন ডিম্পল। পরিচালক রাজ কাপুর তাকে নিজের ছবিতে অভিষেক করেন৷ ১৯৭৩ সালে ববি ছবিতে ঋষি কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন ডিম্পল৷ ১৯৭৩ সালে ববি মুক্তির কিছুদিন আগে, ডিম্পল তার থেকে ১৫ বছরের বড় অভিনেতা রাজেশ খান্নাকে বিয়ে করেন এবং অভিনয় ছেড়ে দেন।
ডিম্পল কাপাডিয়া যখন বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর৷ এরপর ১৭ বছর বয়সেই গর্ভবতী হন এই অভিনেত্রী। একই বছরে প্রথম কন্যা সন্তান টুইঙ্কেল খান্নার জন্ম দেন। এরপর দ্বিতীয় সন্তান রিঙ্কির জন্ম হয়৷
বিয়ের পর ডিম্পল ছিলেন খুবই খুশি৷ বলিউডকে বিদায় জানাতে তার একদমই কষ্ট হয়নি৷ কারণ সুপারস্টার রাজেশ খান্নার জন্য প্রেমে পাগল ছিলেন অভিনেত্রী। ফলে বিয়ে করে সুখে সংসার করাই ছিল তার উদ্দেশ্য৷
তবে এই নায়কের সঙ্গে তার সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের ৯ বছরের মাথায় আলাদা হয়ে যান এই জুটি। যদিও সন্তানদের কথা ভেবে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেননি৷
১৯৮৪ সালে রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবারও ছবিতে ফিরে আসেন ডিম্পল৷ এক বছর পর মুক্তি পাওয়া সাগর সিনেমা দিয়ে কামব্যাক করেন তিনি। এরপর আবারও শুরু হয় বলিউডের ইনিংস। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই তারকা।
ডিম্পলের বড় মেয়ে টুইঙ্কেল খান্নাও বলিউডের প্রথম সারির একজন অভিনেত্রী। ব্যক্তিজীবনে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করেছেন তিনি। সে হিসেবে অক্ষয়ের শ্বাশুড়ি হন ডিম্পল কাপাডিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।