আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫ বছর বয়সী অন্দ্রি পোকরাসা ইউক্রেনে নায়ক হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। সবার কাছে সে ‘ড্রোন বয়’ হিসেবে পরিচিত। সে তার ড্রোন ব্যবহার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউক্রেনীয় সামরিক অভিযানে সহায়তা করার পর থেকে তার এই সুনাম। এবিসি নিউজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে আজ এ তথ্য জানা যায়।
অন্দ্রি মূলত তার বাবার মাধ্যমে সাহায্য করেছিল। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রথম দিকের দিনগুলোতে রাশিয়ান বাহিনী অগ্রসর হওয়ার স্থানাঙ্ক পাঠিয়েছিল অন্দ্রি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে এই কাজ করেছিল।
অন্দ্রি বলেছে, ‘আমার মা প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিল। কিন্তু এখন সে গর্বিত। কারণ আমরা ভালোভাবে কাজটি করেছি, আমরা সুস্থ আছি এবং আমরা সাহায্য করতে পেরেছি। ’
অন্দ্রি জানায়, তারা একটি স্থানীয় গ্রামের গ্রুপে পোস্ট করেছে যে, তাদের একটি ড্রোন আছে এবং সে এটি চালাতে পারে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইউরি কাসিয়ানভ নামের এক ব্যক্তি সেখানে প্রতিক্রিয়া জানান। অন্দ্রির বয়স সম্পর্কে তিনি জানতেন না।
কিয়েভের বাইরে অন্দ্রির নিজের গ্রাম কোলনসচিনার নিকটবর্তী একটি গ্রাম মাকারিভে ড্রোন দিয়ে রাশিয়ান বাহিনীর যানবাহন অগ্রসর হওয়ার ওপর নজর রাখতে বলা হয় অন্দ্রিকে।
অন্দ্রি বলেছে, ‘সেখানে জ্বালানির ট্রাক, ট্যাংক, কামান, সশস্ত্র কর্মী বহনের গাড়ি ছিল। আমি ড্রোন দিয়ে তাদের অনুসরণ করি এবং ছবি তুলি। তারপর ড্রোন দিয়ে ওই জায়গার স্থানাঙ্ক সংগ্রহ করি। ’
স্থানাঙ্কগুলো কাসিয়ানভকে দেওয়ার পর ইউক্রেনের বাহিনী কয়েক মিনিটে রাশিয়ান বাহিনীর সেই বহরকে ধ্বংস করে দেয় বলে জানা যায়।
এ ছাড়া তারা বিস্ফোরণের এতটাই কাছে ছিল যে, তাদের সে এলাকাটি খালি করতে হয়েছিল। অন্দ্রি বলেছে, ‘কাসিয়ানভ আমাদের জন্য একটি সবুজ করিডর বানিয়েছিলেন। তিনি আমাদের মাঠের মধ্য দিয়ে জাইটোমির হাইওয়েতে চলে যেতে বলেছিলেন। সে জায়গাটি ইতিমধ্যে মুক্ত করা হয়েছে। ’
অন্দ্রি যখন তার বন্ধুদের রাশিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করতে সাহায্য করার ঘটনা বলেছিল তখন তারা বিশ্বাস করেনি। কিন্তু পরে টিভিতে দেখে বিশ্বাস করে।
ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধ শিশুদের ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছে। প্রায় এক হাজার শিশু এই যুদ্ধে আহত এবং নিহত হয়েছে। ইউনিসেফের হিসাব মতে, পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি ইউক্রেনের শিশু দেশে এবং বিদেশে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে। যাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।
সূত্র : এবিসি নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।