১৫ হাজার বেসরকারি শিক্ষকের বড় নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ, যেভাবে আবেদন করবেন

জুমবাংলা ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গত বছর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ কার্যক্রমের পরও ১৫১৬৩টি (এমপিও ১২৮০৭ ও নন-এমপিও ২৩৫৬টি) পদ খালি রয়ে গেছে। সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) এসব শূন্যপদ পূরণে সম্প্রতি ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ।

‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনধারী’ (সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিবন্ধনকারী ও মেধাতালিকাভুক্ত) প্রার্থীরাই শুধু এই নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিষয় ও পদভিত্তিক তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট (http://www.ntrca.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।

বয়স : ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ৩৫ বছর বা তারও কম হতে হবে। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্সধারী প্রার্থী এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯ নম্বর মামলায় রায় অনুযায়ী ১২.০৬.২০১৮ তারিখের আগে যাঁরা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন (প্রথম নিবন্ধন থেকে ১৩তম নিবন্ধন), তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

যেসব পদে নিয়োগ :
বেসরকারি স্কুুলে সহকারী শিক্ষক (আইসিটি), বেসরকারি মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) এবং বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসায় প্রভাষক (আইসিটি) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

অনলাইনে আবেদন :

♦ ই-আবেদন (e-Application) করতে হবে http://ngi.teletalk.com.bd অথবা www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদনের নমুনা ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রতিটি আবেদনের ফি ১০০ টাকা।

♦ e-Application ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্য শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় প্রদত্ত তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। নামের বানান অনুরূপ না হলে বা ভুল বানান হলে কম্পিউটার প্রসেসিংয়ে সমস্যা হতে পারে। এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

♦ প্রতিটি পদের জন্য প্রাপ্ত সব বৈধ আবেদনকারী অনলাইনে সফলভাবে আবেদন পেশ করার পর এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি এসএমএস পাবেন। আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

♦ মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক শরীরচর্চা পদের জন্য শুধু মহিলা প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন।

♦ অনলাইন ফরম পূরণ শেষে আবেদনপত্র সাবমিট করলে তা আর কোনোভাবেই সংশোধন করা যাবে না, তাই সাবমিটের আগেই পুরো তথ্য যাচাই করে নিন।

♦ এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে সনদধারী তার সংশ্লিষ্ট বিষয়/বিষয়গুলোর বিপরীতে তালিকায় বর্ণিত সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন (পছন্দের ক্রম উল্লেখ করে) করতে পারবেন। পরে তাঁর পছন্দের ক্রমানুসারে মেধাক্রম অনুসরণ করে মাত্র একটি পদের বিপরীতে নিয়োগ সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ।

♦ কোনো আবেদনকারী প্রার্থীর একই বিষয় এবং একই পর্যায়ের পদে একাধিক সনদ থাকলে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত সনদটি বিবেচনায় নিয়ে ফল তৈরি করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী স্কুল ও কলেজে আবেদন করে সুপারিশযোগ্য হন, তবে তাঁকে কলেজ পর্যায়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

♦ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারীকৃত জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে শুধু তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয়সংশ্লিষ্ট পদ ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে ওই সুপারিশ বাতিলকরণসহ তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

♦ প্রাপ্ত আবেদনগুলো সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে সমন্বিত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশের জন্য বাছাই করে নিয়োগের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বরাবর সুপারিশপত্র প্রেরণ করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।

♦ নিয়োগ সুপারিশে বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানে ব্যর্থ হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালার ১৮.১ (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও বাতিল করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করতে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।

♦ মামলা/আইনগত কোনো জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোনো পদে নিয়োগ সুপারিশ সম্ভব না হলে এর দায় নেবে না এনটিআরসিএ।

♦ এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বয়সসীমা শিথিলযোগ্য বিধায় বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তাঁরাও অনলাইনে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাঁদের আবেদনগুলো অন্য প্রার্থীদের মতো সমন্বিত মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।

♦ ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা)’ পদে চাকরিপ্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সেই ধর্মের অনুসারী হতে হবে।

এসএসসি: যে ৩ বিষয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাব, কমছে নম্বর ও সময়