নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার এক নারী গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে তার ওপর হওয়া নির্যাতনের বিবরণে বলেন, ‘রুহুল আমিন মেম্বারের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় ওই রাতে মেম্বারসহ ১৬ জন আমাকে নির্যাতন করেছে। রক্তাক্ত-অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কয়েক দিন আগে বাড়ি এসে আমার মেয়েকে মারধর করেছে। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই। আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।’ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘ধর্ষণ ও সকল যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতীকী অনশন’–এর আয়োজন করে ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট।
অনুষ্ঠানে এই নারী নিজের নির্যাতনের অভিজ্ঞতা বলার পাশাপাশি তিনি সরকারপ্রধানের কাছে এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চান। সহিংসতার শিকার এক নারীর ভাই তার বোনের মৃত্যুর পরে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি বোনের হত্যার বিচার চাই না। কারণ, আমি বিচার পাব না।’ চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় দেড় হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানান এ জোটের চেয়ারপারসন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর বড় কারণ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বললে বিচার হবে, না বললে বিচার হবে না-এ কেমন সংস্কৃতি? অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, ধর্ষণ বা নির্যাতনের শিকার নারীরা নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন। পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়। আর অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটার পরেও সরকার থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন মানবাধিকার, নারী অধিকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।