১০ দিন ধরে পানিবন্দী ঢাকার পূর্বাঞ্চলের মানুষ।পানি বাড়ছে প্রতিদিনই তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ছোট ছোট বাঁধ, ভেসে গেছে মাছের ঘের।
বালু নদীর পানি উপচে ঢুকে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির বেশ কয়েকটি এলাকায়। বেরাইদের ফকিরখালীর প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢুকেছে বানের পানি। সুপেয় পানির সংকটে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। এলাকাবাসীরা বলেন, রাজধানীতে আমরা ৯৮ এর পর এতো পানি দেখিনি। ডেমড়া থেকে টঙ্গী বেড়িবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে আমাদের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না।
স্থায়ীবাসিন্দারা বলেন, রাতে যখন ঘুমিয়ে থাকি মাঝ রাতে বিছানায় পানিতে ভিজে যায়। তখন বিছানার উপরে উঠে বসে থাকতে হয়। ৯৮ সালে যেরকম বন্যা দেখেছি, ঠিক তেমনি ২০২০ সালে এসে এই রকম বন্যা দেখছি।
৮৮ সালের বন্যার পর রাজধানীর পশ্চিমাঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও পূর্বাঞ্চল এখনও অরক্ষিত। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ আবাসিক এলাকা
গড়ে উঠেছে জলাভূমি ভরাট করে। ফলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেই ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।
নদী বিশেষজ্ঞ ম. এনামুল হক বলেন, বালু নদীর পার দিয়ে বন্য প্রতিরোধের একটা বাঁধ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকল্প কয়েক যুগ ধরে পিছিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই বন্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে পূর্বাঞ্চলে বাঁধ দিতেই হবে।
রাজধানীর গোড়ান, বনশ্রী, বাসাবো, আফতাবনগর, সাঁতারকুলের নীচু এলাকায়ও ঢুকেছে বন্যার পানি। এ ছাড়া ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও ডিএনডি বাঁধ এলাকাতেও বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।