কর-শুল্ক ফাঁকির সুবিধা দিয়ে অবৈধ উপার্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের সত্যতা মিলতেই তাদের সম্পদ যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ নভেম্বর) এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরিকল্পিত সম্পদ ও কর-শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান কঠোরভাবে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের সম্পদ তালিকা সংগ্রহ ও হিসাব যাচাই শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে যখন এনবিআর সংস্কার আন্দোলন তুঙ্গে—ঠিক সেই সময়ই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার, পরিষদের আরও কয়েক সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। অভিযোগ ছিল—তারা কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের সত্যতা মেলায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সম্পদের সঠিক হিসাব যাচাইয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে এনবিআর সদস্য একেএম বদিউল আলমসহ কয়েক কর্মকর্তার দেশের বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিন ১৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



